স্টাফ রিপোর্টার : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামালপুর জেলা বিএনপির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। তারা কোথাও ভোট বর্জন করেছেন আবার কোথাও দলবেঁধে করছেন ভোট প্রার্থণা। প্রথম দফা নির্বাচন জামালপুর সদর উপজেলা ও দ্বিতীয় দফা বকশিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির এমন দ্বিমুখী আচরণ লক্ষ্য করেছেন জনগণ। জানা যায়, দেশে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর থেকে কেন্দ্রীয় ভাবেই নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় সদ্য অনুষ্ঠিত জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান সরকারকে ফ্যাসিবাদ আক্ষা দিয়ে এই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে বর্জনের আহবান জানিয়েছে জামালপুর জেলা বিএনপি। তার অংশ হিসেবে জেলা নেতৃবৃন্দ শহরের অলিগলিতে ও পাড়া মহল্লায় ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করেছেন। কিন্তু, তার বিপরীত চরিত্র দেখা যাচ্ছে বকশিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রার্থণা করছেন। কেউ কেউ তার প্রার্থীর হয়ে হুমকি ধমকিও দিচ্ছেন অপর প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের।বিষয়টি নিয়ে জনমনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও সরেজমিনে ঘুরে লক্ষ্য করা গেছে যে বকশিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র- আহ্বায়ক- মানিক সওদাগর, সাবেক সদস্য সচিব-(বহিষ্কৃত), বকশিগঞ্জ পৌর মেয়র ফকরুজ্জামান মতিন, যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে- রফিকুল ইসলাম কারী, মোতালেব সরকার, আব্দুল্লাহ আল মোকাদ্দেম রিপন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি বিপ্লব সওদাগর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি সাধারন সম্পাদক ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে দেওয়ানগঞ্জ-বকশিগঞ্জ আসনের বর্তমান এমপি নুর মোহাম্মদ এর ছোট ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম সাত্তারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। তারা দিবারাত্রি উপজেলার হাটবাজারে, পাড়া মহল্লা ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের পক্ষে ভোট প্রার্থণা করছেন। উপজেলা বিএনপির কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী আবার অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও রউফ তালুকদারের পক্ষেও গোপনে কাজ করছেন। এব্যাপারে বকশিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক. মানিক সওদাগর নিজে ভোট প্রার্থণার কথা অস্বীকার করে বলেন, যারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন তারা সবাই উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের কোনো না কোনো ভাবে আত্মীয়। তারা যদি আত্মীয় হয়ে আত্মীয়র পক্ষে নির্বাচন করে বা প্রচারণায় অংশ নেয় তাহলে আমি কি করে আটকাবো? কয়জনকেই বা আটকাবো। তাদেরকে কি আমার প্রহরা দিয়ে রাখা সম্ভব?
জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক. এড. শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, বকশিগঞ্জ বিএনপির যদি এমন কাজ করে থাকে তাহলে নিশ্চয় দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। পরবর্তীতে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলেও জানিয়েছেন তিনি।