Saturday, June 29, 2024
Homeজাতীয়স্ট্যান্ডিং ও কমিউটার ট্রেনের টিকিট পেতে হাজারো মানুষের ভিড়

স্ট্যান্ডিং ও কমিউটার ট্রেনের টিকিট পেতে হাজারো মানুষের ভিড়

ঢাকা থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮টি কমিউটার ট্রেন দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত যাতায়াত করে। এসব ট্রেনের টিকিট যাত্রা শুরুর আগে বেসরকারি কাউন্টার থেকে দেওয়া হয়ে থাকে। ঈদ যাত্রার চতুর্থ দিন সকালে টিকিট পেতে কমিউটার ট্রেনের কাউন্টারের সামনে হাজারো মানুষের ভিড় লেগে আছে। কাউন্টার থেকে লাইন গিয়ে ঠেকেছে পার্কিং পর্যন্ত।

অপরদিকে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে ট্রেনের মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট স্ট্যান্ডিং হিসেবে বিক্রয় করা হয়। ফলে ওই টিকিটের জন্যও আন্তঃনগর ট্রেনের কাউন্টারের সামনে মানুষের ভিড় রয়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। 

সরেজমিনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কম্পিউটার ট্রেনে অন্যান্য সময় একটি টিকেট কিনলে একটি আসন দিত। কিন্তু ঈদের সময় তারা চার-পাঁচটি আসন একসঙ্গে না কিনলে সিটসহ টিকেট দেয় না। যেহেতু আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে টিকিট পাওয়া যায়নি তাই এটিই এখন শেষ ভরসা।

আন্তঃনগর কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লাইনের প্রত্যেকেই প্রত্যাশা করছেন আসন না পেলেও অন্তত ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিটটা পাবেন। কিন্তু তাদের অনেকেই জানেন না, আন্তঃনগর ট্রেনের শুধুমাত্র শোভন শ্রেণীর ২৫ শতাংশ টিকিট দেওয়া হবে। এতে অনেকে টিকিট না পেয়ে ফিরে গেছেন।

তিতাস কমিউটার ট্রেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাবেন মোহাম্মদ জিল্লাল। তিনি  বলেন, তিতাস কমিউটার ট্রেনে মানুষ বোঝাই হয়ে চলাচল করে। ওদের টিকেটের কোন লিমিট নাই। যতক্ষণ পারে টিকেট বিক্রি করে। ট্রেনের ভেতর জায়গা আছে কিনা সেটাও তারা দেখে না। তারপরও বাড়ি যাব বলে কথা, একটা টিকিট পেলেই চলবে।

চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেনের যাত্রী এসএম ফিরোজ বলেন, প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট পেয়েছি। একটু কম বাড়ার জন্য এই ট্রেন বেছে নেওয়া। ট্রেনে উঠতে পারলে বাড়ি যাওয়ার একটা ব্যবস্থা হবে। সময় বেশি লাগলেও কোন অসুবিধা নেই। 

কর্ণফুলী কমিউটার (৪) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ২ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ১০ মিনিট বিলম্ব নিয়ে ট্রেনটি ৮টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য রওনা হয়।

আন্তঃনগর ট্রেনের কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে জামালপুরগামী ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট দেয়। অনেক সময় পাওয়া না পাওয়ার একটা বিষয় থাকে। অপেক্ষায় আছি অন্তত একটি স্ট্যান্ডিং টিকেট যেন পাই। অনেকবার চেষ্টা করেও অনলাইন থেকে টিকিট কাটতে পারিনি।

Most Popular

Recent Comments