ঝিনাইগাতীতে তৃতীয় দফায় ভয়াবহ রাক্ষসী বন্যায় হাজার হাজার মানুষ পানিতে বন্দি

ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা : শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার ২ জুলাই ভোরে ভয়াবহ রাক্ষসী বন্যায় হাজার হাজার মানুষ পানিতে বন্দি হয়ে পড়ে। তৃতীয় দফায় আকস্মিক ভাবে বন্যার পানিতে মহারশি নদী প্লাবিত হয়ে জনর্দূভোগ সৃষ্ঠি হয়। তিনদিনের প্রচুর বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা প্রবল স্্েরাতের পানিতে মহারশি নদী ভরাট হয়ে বন্যায় পরিণত হয়ে যায় নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ কয়েকটি ইউনিয়ন। ঝিনাইগাতী সদর বাজারে গরুহাটি ও ভূমি অফিসের পিছন থেকে বন্যার পানি প্রবেশ করে গোটা বাজার প্লাবিত হয়ে পড়ে। মসজিদ রোড,ধানহাটি, চালহাটি মধ্যবাজারের ব্যাবসায়ীদের দোকানে বন্যার পানি প্রবেশ করে অনেক মালামালের ক্ষতি সাধিত হয়েছে । অনেক বাড়ি ঘরে পানি উঠার ফলে এক বেলা না খেয়ে জনদূর্ভোগ পোহাতে হয় অনেক পরিবারকে এবং পানিতে বন্দি এক বৃদ্ধ মহিলাকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল উদ্বার করেছে। তৃতীয় দফায় বন্যার পানিতে সদ্য রোপণকৃত আমন ফসলের বীজতলা সহ কৃষকের সবজি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। জোয়ার ভাটার মতো সকালে ভয়াবহ বন্যা দুপুরের দিকে সদর বাজার থেকে পানি নেমে ভাটি এলাকায় যাওয়া শুরু করেছে। উপজেলার মহারশি নদি ব্রিজের দক্ষিণে বাধ ভেঙে অনেক বাড়িঘর, মেন রাস্তা সহ হাসপাতালে পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলার ৭টি ইইয়নের মধ্যে ঝিনাইগাতী,গৌরিপুর,ধানশাইল ও হাতিবান্ধা ৪টি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল ৩টি ইউনিয়নের বন্যায় কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান। অপর দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রাজীব সাহা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন,প্যারাসিটামল, মেট্রো সহ প্রাথমিক চিকিৎসার ঔষধ বিতরণ করেন। পানিবাহিত রোগ ও সাপের দংশন থেকে বাঁচতে জনতাকে সচেতনতা সৃিষ্ট করেন। উপজেলাবাসী প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এ থেকে রক্ষা পেতে বেরিবাধ নির্মাণে জোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী মহল সহ উপজেলাবাসীরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরকারী,বেসরকারী বা কোন সামাজিক সংঠন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ায়নি বলে জানা গেছে।