প্রতিদিন ৫০০ শটের মুখোমুখি হওয়া মার্টিনেজ এখনই বাড়ি যেতে চাননি

জয়ের অপেক্ষাতেই ছিলেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা, তখনই এলো ধাক্কাটা। শেষ মিনিটে দারুণ এক গোলে সমতায় ফিরে ম্যাচ জমিয়ে দেয় ইকুয়েডর। খেলা শেষ পর্যন্ত গড়ায় টাইব্রেকারে। লিওনেল মেসির অবিশ্বাস্য পেনাল্টি মিসের পর সংশয় বেড়ে যায় খানিকটা। একটু পা হড়কালেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে পারতো কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

আকাশী-সাদাদের ভরসাজুড়ে ছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। এবারও হতাশ করলেন না। টাইব্রেকার শুটআউটে পরপর দুটি অতিমানবীয় সেভে আবারও ত্রাতা বনে গেলেন। ইকুয়েডরকে ৪-২ ব্যবধানে পেনাল্টিতে হারিয়ে সেমিফাইনালে গেল আর্জেন্টিনা। 

শেষবার আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টিতে এমন স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ১৯৯০ সালের সার্জিও গায়কোচিয়া। তবে এমি মার্টিনেজকে সম্ভবত তারচেয়েও বড় কিছু বলা চলে। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকা থেকেই পেনাল্টিতে আর্জেন্টিনার ভরসা হয়ে ছিলেন। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ঠেকিয়েছিলেন ৩ পেনাল্টি। এরপর বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস আর ফ্রান্সের বিপক্ষে জয় তো ধরা দিল এমি মার্টিনেজের বিশ্বস্ত হাতের সূত্রে। 

খেলা শেষে আর্জেন্টিনার নায়ক মার্টিনেজ এক প্রতিক্রিয়ায়, এখনই বাড়ি যেতে চাননি। মিক্সড জোনে তিনি বলেন, ‘ওদের (সতীর্থদের) বলেছি, আমি বাড়ি যেতে প্রস্তুত নই। আমার সমর্থকদের অনুভব করি। আমার পরিবারও কাছেই আছে। এগুলো জীবনের বিশেষ মুহূর্ত। এই দল আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার মতো। সব মিলিয়েই ব্যাপারটি রোমাঞ্চকর।’

আর্জেন্টিনার হয়ে এখন পর্যন্ত চারবার টাইব্রেকার শুটআউটে দাঁড়িয়েছে সবকটিতেই সফল হয়েছেন এমি মার্টিনেজ। নিজের সাফল্যের রহস্য জানিয়ে অ্যাস্টন ভিলার এই গোলরক্ষক বলেন, ‘আমি এমন কিছুর জন্যই কাজ করি। প্রতিদিন অনুশীলনে আমি ৫০০–এর মতো শটের মুখোমুখি হই। চেষ্টা করি সব সময়ই ভালো অবস্থানে থাকতে।

আরও যোগ করেন, আমার দেশের এটা প্রাপ্য। মানুষ টাকা খরচ করে আমাদের খেলা দেখতে চায়। আমি তো মানুষের কণ্ঠের আবেগ মিস করি, তাদের উল্লাস মিস করি। এ সব নিয়ে আমি গর্বিত। একজন গোলকিপার হিসেবে ও ব্যক্তি হিসেবে আমি আরও উন্নতি করতে চাই।’