সর্বশেষ সংবাদ
আজ ডেক্সঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার শুরুর দিন ১০ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে জনসভা হবে। জনসভার অনুমতির জন্য আমরা ইতোমধ্যে পুলিশ কমিশনার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। আশা করছি, ১০ ডিসম্বের ফ্রন্টের এই জনসভা সফল ও সার্থক হবে। পাঁচ বছর আগে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি এবার গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং দল ও জোট থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেওয়ার পর সোমবার থেকে শুরু হবে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার। প্রচারের প্রথম দিনে এই জনসভায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন ছাড়াও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেবেন বলে রিজভী জানান। নির্বাচন সামনে রেখে গত ১৩ অক্টোবর কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিকে নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর গত ৬ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের প্রথম জনসভা হয়। সরকার ও নির্বাচন কমিশন কমিশন ‘একতরফা’ নির্বাচনের আয়োজন করছে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। একতরফাভাবে ক্ষমতাসীনরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। আর বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা মহানগর, ফেনী, যশোর, খুলনা, গাজীপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বুধভার গ্রেফতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের তালিকা তুলে ধরে অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান রিজভী। বিভিন্ন জেলায় ‘আওয়ামী লীগ সমর্থক’ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি আবারও জানান বিএনপির এই নেতা। দলের ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মনির হোসেন প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।