উন্নয়নের সঙ্গে রংপুরের অর্থনীতির মজবুত ভীত গড়তে শিল্প, কল-কারখানা গড়ে তুলতে উদ্যোক্তাসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে হলে রংপুরে শিল্প, কল-কারখানার প্রয়োজন রয়েছে। এসব গড়ে উঠলে মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এ অঞ্চলে ব্যবসা হবে, লেনদেন বৃদ্ধিসহ বেশি রাজস্ব আদায় হবে। রংপুর অঞ্চলের ব্যবসায়ী নেতাদের এজন্য উদ্যোগ নিতে হবে। শিল্প কল-কারখানা গড়ে তুলতে আগ্রহী ব্যবসায়ীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর আরডিআরএস বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে কর অঞ্চল রংপুর আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার একথা বলেন। অনুষ্ঠানে রংপুর সিটি করপোরেশন, জেলা ভিত্তিক সর্বোচ্চ ও দীর্ঘ সময় আয়কর প্রদানকারী ৫৬ জন সেরা করদাতাকে সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, রংপুরে কৃষি ভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে তোলার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার উত্তরাঞ্চলে শিল্প কল-কারখানা স্থাপনে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে রংপুর কৃষিতে আরও সমৃদ্ধ হবে। শুধু কৃষি নির্ভর অর্থনীতির হাত ধরে এই অঞ্চলে শিল্প-কলকারখানা গড়ে তোলা গেলে মানুষের ভাগ্যের ব্যাপক পরিবর্তন সম্ভব।
অনুষ্ঠানে কর অঞ্চল রংপুরের কমিশনার শাহীন আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, রংপুর জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রংপুর কর অঞ্চলের যুগ্ম কমিশনার মির্জা আশিক রানা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব আহরণের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার যে স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে রাজস্ব আহরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এসময় রংপুর থেকে প্রতিটি রাজস্বখাতে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কর জমা হলেও কাঙ্খিত উন্নয়ন হচ্ছে না বলেও বক্তব্যে তুলে ধরেন ব্যবসায়ী নেতারা।
রংপুর কর অঞ্চলের ৫৬ সেরা করদাতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রতিটি জেলা ও সিটি কর্পোরেশন থেকে সর্বোচ্চ করপ্রদানকারী করদাতা হিসেবে ৩ জন, দীর্ঘমেয়াদী আয়কর প্রদানকারী করদাতা হিসেবে ২ জন, সর্বোচ্চ মহিলা করপ্রদানকারী করদাতা হিসেবে ১ জন এবং সর্বোচ্চ ৪০ বছরের নিচে তরুণ পুরুষ করদাতা হিসেবে ১ জনসহ মোট ৭ জন করে সর্বমোট ৫৬ জন সেরা করদাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।