অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সরকারের লক্ষ্য: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, আগামী বাজেটে প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রাখা, ফাস্ট-ট্র্যাক অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন, ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে করোনা-পরবর্তী বিরূপ  প্রভাব, মধ্যপ্রাচ্য সংকট ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) আয়োজিত ‘প্রাক বাজেট আলোচনা ২০২৪-২০২৫’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমন্বয় করা এবং সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ করা হবে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যখন সুদের হার ৯ শতাংশ ও ৬ শতাংশ ছিল, তখনো নন-পারফর্মিং লোন আমরা বাড়তে দেখেছি। সুদের হার বাড়লে খেলাপি ঋণ বাড়বে, এমন বিষয় না। আর্থিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এটা দূর করতে হবে। যদি মুনাফা করার সুযোগ থাকে তবে ব্যবসায়ীরা উচ্চ সুদেও ঋণ নেবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মিজনুর রহমান, মাগুরা গ্রুপের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিনসহ ব্যবসা সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

ওয়াসিকা আয়শা খান আরও বলেন, আমরা রপ্তানি বৃদ্ধি করতে চাই। রপ্তানি বাড়লে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও এফডিআই বাড়বে। রপ্তানি বৃদ্ধির বিষয়ে বিষয়ে সরকার মনোযোগী। রাজস্ব খাতে পরিকল্পিত সংস্কার কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং কর আহরণের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল প্রণয়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আইসিএমএবি প্রেসিডেন্ট মো. সেলিম উদ্দিন ও সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আরিফ খান।