আখ সংকটে বন্ধ হচ্ছে জিলবাংলা চিনিকল॥ এবারেও বিপুল অংকের লোকসানের আশংকা

খাদেমুল ইসলাম : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে জিল বাংলা চিনিকল লিমিটেডে আখের অভাবে বন্ধ হচ্ছে মাড়াই। রোববার মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ হতে পারে বলে জানান মিল কর্তৃপক্ষ। মিলের পক্ষ থেকে আখচাষীদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করে বলা হচ্ছে, খেতে দন্ডায়মান আখ দ্রুত মিলে সরবরাহের জন্যে। নচেৎ খেতে দন্ডায়মান অবস্থায় মাড়াই বন্ধ হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা যাবে না। শনিবার মিলে গমণ করে দেখা যায়, মিলে মাড়াই বন্ধের খবর শোনে চাষীরা তরিঘরি করে খেতের আখ কেটে নিয়ে এসেছেন মিলে। শতশত গাড়ী ভর্তি আখ নিয়ে গাড়োয়ানরা লাইন ধরে মাপ দিচ্ছে। মিল সূত্রে প্রকাশ, গত ২০২২/২০২৩ মাড়াই মৌসুমে ৫৩ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে মিল। সেবারও আখের অভাবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বন্ধ করতে হয়েছে মাড়াই। চলতি মাড়াই মৌসুম উদ্বোধন হয় গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩। ৫২ হাজার মেট্রিকটন আখের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার পর্যন্ত ৪৩ হাজার মেট্রিকটন আখ মাড়াই হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত মিলে মাড়াই চলছে ৫০ দিন। রিকোভারি ৫.৯৪। চিনি আহরনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ২৫০ মেট্রিকটন। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন। জিল বাংলা চিনিকল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাব্বীক হাসান (এসসিএমএ) নয়াদিগন্ত কে জানান, আখ সংকটের কারণে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা সময়ের পূর্বেই রোববার ৪ ফেব্রুয়ারি মিলের মাড়াই বন্ধ হয়ে যাবে। ১৯৫৮ সালে পাক-নিউজিল্যান্ডের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত জিল বাংলা চিনিকল টি বেশির ভাগ মৌসুমেই লোকসান দিয়ে আসছে। মিলকে বহুমুখী করণ, আখ চাষ বৃদ্ধি, মিলকে বিএমআরই করা এবং চাষীদের সব সমস্যার সমাধান করা হলে মিল কর্তৃপক্ষ লোকসান ঠেকিয়ে জিলবাংলা চিনিকলকে লাভের মুখ দেখাতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।