চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনী শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের কমিশনার জোসেপ বরেল। রুশ বাহিনীর হামলা থেকে ইউক্রেনকে রক্ষার জন্য দেশটিতে অস্ত্র সহায়তা প্রদানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
শুক্রবার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে আয়োজিত ইইউ’র এক বৈঠকে বরেল বলেন, ‘রাশিয়া একটি মহান দেশ এবং রুশরা এমন জাতি, যা যে কোনো লড়াই শেষ পর্যন্ত লড়ে যায়। অনেক সময় হয়তো সাময়িকভাবে তারা বিপর্যস্ত হয়, কিন্তু একসময় ঠিকই ফিরে আসে। ১৮১২ সালে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়ায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন; একই পরিণতি হয়েছিল ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান বাহিনীর সঙ্গেও। তারাও সেখানে (অভিযান চালাতে গিয়ে) ব্যর্থ হয়েছিল।’
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন—শিগগিরই ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা চালাতে যাচ্ছে রাশিয়া। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পাশে সহায়তা নিয়ে দাঁড়ানো ইউরোপের কর্তব্য উল্লেখ করে জোসেপ বরেল বলেন, ‘এখন আমাদের উচিত ইউক্রেনকে জরুরি সামরিক উপকরণ ও সমরাস্ত্র সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখা। কারণ এখন কেবল ইউক্রেনকে রক্ষা নয়, বরং যে কোনো মূল্যে আমাদের রাশিয়াকে প্রতিহত করতে হবে।’
এদিকে, রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলা থেকে বাঁচতে ন্যাটোর সদস্যরাষ্ট্রদের কাছে লিওপার্ড সিরিজের ট্যাংক চেয়েছিল ইউক্রেন। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে শুক্রবার জার্মানিতে বৈঠকও করেছে ন্যাটোর ৫০ সদস্যরাষ্ট্র; কিন্তু বৈঠকে ট্যাংক পাঠানোর প্রশ্নে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি সদস্যরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা।
ট্যাংকের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও তদবির শুরু করেছে ইউক্রেন। সামরিক সহায়তা হিসেবে দেশটির অত্যাধুনিক সমরযান আব্রাম ট্যাংক চেয়েছেন জেলেনস্কি। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘সামরিক সহায়তা হিসেবে ইউক্রেন যা যা চেয়েছে, তার সবই দেশটিকে দেওয়া হবে।’