এই মুহূর্তে বাংলাদেশ হকি ও ফুটবল দল ইন্দোনেশিয়ায় রয়েছে। হকি দল এখন এশিয়া কাপ খেলছে জাকার্তায় আর ফুটবল দল আজ বান্দুং পৌঁছেছে। গতকাল ভোরে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন জামালরা। মালয়েশিয়ায় ট্রানজিট ছিল দুই ঘণ্টা। বাংলাদেশ সময় দুপুরের দিকে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছান জামালরা।
করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে অনেক কিছুই বদলেছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট, ইমিগ্রেশনে এসেছে নানা পরিবর্তন। আগে ইন্দোনেশিয়াতে বাংলাদেশি নাগরিকরা বিনা ফিতে অন অ্যারাইভাল ভিসা পেতেন। সাম্প্রতিক সময়ে ডলার খরচ করে আগে ভাগে ই-ভিসা নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করতে হয়।
হকি দল গত আড়াই মাসের মধ্যে দুই বার ইন্দোনেশিয়া সফর করেছে। দুই মাসের ব্যবধানে ভিসা ফি বেড়েছিল দেশটির। ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউসুফ বলেন, ‘এএইচএফ কাপ যখন খেলতে গিয়েছিল তখন ভিসা ফি ছিল ১৬৫ ডলার জনপ্রতি। এখন এশিয়া কাপ খেলার সময় সেটা বেড়ে হয়েছে ২১০ ডলার।’ ১৮ জনের স্কোয়াড, কোচিং স্টাফ ও কর্মকর্তাদের হকি ফেডারেশনের ভিসা ফি বাবদ খরচ প্রায় পাঁচ লাখের কাছাকাছি।
হকি ফেডারেশনের চেয়ে ফুটবল ফেডারেশনের ইন্দোনেশিয়ার ভিসা খাতে খরচ হতো আরো বেশি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে জন প্রতি ২৯০ ডলার করে ভিসা ফি দিতে বলেছিল ইন্দোনেশিয়া। সেই হিসেবে ৩৫ জনের পেছনে বাফুফের ইন্দোনেশিয়ার ভিসার জন্য ব্যয় হতো প্রায় ১০ লাখ টাকা।
শেষ পর্যন্ত বাফুফেকে ইন্দোনেশিয়ায় ভিসা খাতে কোনো অর্থই ব্যয় করতে হয়নি। ইন্দোনেশিয়া ফুটবল ফেডারেশনই এটি বহন করেছে। ‘আমরা ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে বিষয়টি বেশ কয়েকটি চিঠি চালাচালি করেছি। শেষ পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে জানায় যে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে ভিসা ফি দিতে হবে না’-বলেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। বাফুফে ভিসা ফি মওকুফ পেলেও ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল ফেডারেশনকে ঠিকই এই অর্থ সরকারি খাতে দিতে হয়েছে। খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তা মিলিয়ে কন্টিনজেন্টের ৩৫ জনের ফি বাফুফেকে দিতে হয়নি।