কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের (বেফাক) সাবেক মহাপরিচালক মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বর্তমানে তিনি খেলাফত মজলিসের আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন মাদ্রাসায় শায়খুল হাদিস ও মুহাদ্দিস পদে হাদিসের দরস দিতেন। এর পাশাপাশি মৌলভীবাজার সরকারি কলেজেও অধ্যাপনা করেন।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জে একটি দলীয় ইফতার মাহফিলে স্ট্রোক করে তিনি মারা যান। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
প্রত্যক্ষদর্শী ও খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিকেলের মধ্যেই নেতাকর্মীরা শহরের আজাদ হলে সমবেত হন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন। তখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিল। ইফতারের সময় হলে তিনি ইফতার মুখে নিয়ে স্ট্রোক করে মারা যান। পরে তাকে দ্রুত শহরের চাষাঢ়া বালুর মাঠের ইসলাম হার্ট সেন্টারে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর খেলাফত মজলিসের সভাপতি ডা. শরীফ মোসাদ্দেক জানান, আমাদের আমির ইফতার মাহফিলে ইন্তেকাল করেছেন। ইফতারের সময় খাবার মুখে নেওয়ার পর তিনি স্ট্রোক করে মারা যান। পরে তাকে ইসলাম হার্ট সেন্টারে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তার জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মজলিস আমিরের মৃত্যুতে নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার স্মৃতি স্মরণ করে শোক জানিয়েছেন।
গত জানুয়ারি মাসে মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী খেলাফত মজলিসের আমির নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী ১৯৫০ সালে ১ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মাওলানা আবদুন নূর শায়খে ইন্ধেশ্বরী ছিলেন প্রখ্যাত আলেম। কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয়।
১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খেলাফত মজলিসের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার-রাজনগর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি একজন লেখকও। তার কয়েকটি বই বাজারে রয়েছে।
