মোহাম্মদ আলী : মাটির রাস্তা তৈরির কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি অভিযোগকারী এলাকাবাসীর। গত মঙ্গলবার, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রাণলয়ের মন্ত্রী বরাবর এমন অভিযোগ করেছেন ইসলামপুর উপজেলার ১১নং চরপুটিমারি ইউনিয়নের চিনারচর গ্রামের বাসিন্দাদের পক্ষে ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম৷ জানাযায়, ২০২২/২৩ অর্থবছরে ৭২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চিনারচর বাজার পাকা রাস্তা থেকে তেঘুরিয়ার চর ব্রিজ পর্যন্ত কয়েক কিঃমিঃ ব্যাপী একটি নতুন কাঁচা রাস্তা অনুমোদন পায়। কাজের সুবিধার্থে পুরো প্রকল্পটি তিন ভাগে বিভক্ত হয়। কিন্তু, তিন প্রকল্প সভাপতি যোগসাজশে রাস্তা তৈরীতে দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। তারা প্রকল্পের অনুমোদিত নকশা বা সিডিউল অনুসরণ না করে মনগড়া পন্থায় নাম মাত্র কাজ করে প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারায় নেমেছেন। এতে করে নতুন রাস্তাটিকে কেন্দ্র করে এলাকা ও এলাকাবাসীর উন্নয়ন মারাত্বক ভাবে বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই, এলাকাবাসী, দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে প্রকল্পটি সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি। অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি চরপুটিমারি ইউনিয়নের স্বর্ববৃহত্ত প্রকল্প। এ প্রকল্পে দুর্নীতি পরিলক্ষিত হওয়ায় আমি ছাড়াও এ গ্রামের আরও কয়েকজন আলাদা আলাদা অভিযোগ করেছেন। তবে, প্রকল্প সভাপতিদের সাথে বলার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, মোঃ মেহেদী হাসান টিটু বলেন, এমন অভিযোগ এখনও আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। যদি অভিযোগ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাজ না দেখে বিল দেওয়া হবে না, বলেও জানান তিনি।