আ.জা. ডেক্স:
বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে এখনো সাধারণ ছুটি বা লকডাউনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এমবিবিএস পরীক্ষা নিয়ে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি বা লকডাউনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি-না জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হলে জানিয়ে দেবো। জাহিদ মালেক বলেন, এটা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো অর্ডার পাস করে না। তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষা নিচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি ও সেবায় বেশি নজর দিচ্ছি। যেসব জায়গায় করোনা বাড়ছে সেগুলো আমরা তুলে ধরেছি। সেসব জায়গা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সংক্রমণ বাড়বে না। তাই করোনার উৎপত্তিস্থল বন্ধ করতে হবে। পর্যটনকেন্দ্রগুলো থেকে করোনার সংক্রমণ বেশি হচ্ছে, তাই সেগুলো সীমিত করার বিষয়েও জোর দেন মন্ত্রী। এদিকে এমবিবিএস পরীক্ষা চলাকালে কোচিং সেন্টার ও কেন্দ্রের আশেপাশের সব ফটোকপির মেশিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এমবিবিএস একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। প্রতিবছর আমরা পরীক্ষাটি নিয়ে আসছি। এবার ১ লাখ ২২ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করেছে। সারাদেশে ৫৫টি সেন্টার আমরা নির্ধারণ করেছি। প্রয়োজন হলে বৃদ্ধি করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি যাতে মানা হয় সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তিন ফিট দূরত্ব রেখে পরীক্ষার্থীরা বসবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, সেখানে স্যানিটাইজার থাকবে। ভেন্যুতে অন্য কাউকে ঢুকতে দেবো না, অভিভাবকরা যাতে ভালো অবস্থায় থাকতে পারে সে বিষয়গুলো আমরা নজরে এনেছি। গুজব প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন বাহিনীর কাছে বলেছি যাতে গুজব না ছড়ানো হয়। যাতে ফেসবুকে নেতিবাচক গুজব না ছড়ানো হয় সেটি দেখতে বলেছি। তারা বলেছে, সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। পরীক্ষার প্রশ্ন নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করবে তারা। পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা মনিটরিং সেল গঠন করেছি। কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেলে যোগাযোগ করা যাবে এবং তারা সার্বিক ব্যবস্থা নেবে। কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হবে এবং কোনো ফটোকপি মেশিন কেন্দ্রের আশপাশে থাকতে পারবে না। তাহলে আমরা সুন্দরভাবে পরীক্ষা নিতে পারব, সফলতার সাথে নিতে পারব। জাহিদ মালেক আরও বলেন, সুন্দরভাবে সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা কাজ করব। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবে এবং তারা সার্বিক বিষয়গুলো দেখবে। কোনো সমস্যা হলে ম্যাজিস্ট্রেটরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।