পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া নৌরুটে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ কমেছে। তবে এই নৌরুট পার হতে আসা যানবাহনগুলোকে এখন আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করতে হয় না।
অন্যদিকে এ কারণে রাজস্বের পরিমাণ কমবে না বলে দাবি করেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
তারা জানায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগের দিন শুক্রবার (২৪ জুন) সকাল ৬টা থেকে শনিবার (২৫ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত এই নৌরুটে ৬ হাজার ৯১৭টি, শনিবার (২৫ জুন) সকাল ৬টা থেকে রোববার (২৬ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৫৮টি যানবাহনসহ মোট ১৪ হাজার ৫৭৫টি যানবাহন পারাপার করা হয়েছে।
রোববার (২৬ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মাওয়া ঘাট বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সন্ধ্যা থেকে এ নৌরুটে বাড়তি যানবাহনের চাপ পড়ে। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এ নৌরুটে ছোট গাড়ি পারাপারের হার কিছুটা কমেছে। এ নৌরুটে ১৫০টি সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক পারের অপেক্ষায় রয়েছে আর ব্যক্তিগত গাড়ি এবং পরিবহন বাস চলাচল করছে। নৌরুটে ২১টি ফেরি চলাচল করছে।

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যাত্রী ও যানবাহনগুলোর যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল ব্যস্ততম এই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এসব জেলার মানুষের যোগাযোগ নতুন দুয়ার খুলেছে। তবে ব্যস্ততম এই নৌরুটে যানবাহনের সংখ্যা কেমন কমবে, তা দুই থেকে তিন মাস পরেই বোঝা যাবে।
রাজস্ব বিষয়ে ডিজিএম বলেন, রাজস্ব আদায় তেমন কমবে না। এখন অনেক গাড়িই সেতু ব্যবহার করবে। এ কারণে নৌরুট পার হতে আসা যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের ঘাট এলাকায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। ভোগান্তির মাত্রাও অনেক কমে যাবে।