মোহাম্মদ আলী : করোনায় মহামারীতে দেশের মানুষ যখন ঘরে আবদ্ধ। শ্রমজীবি খেটে খাওয়া মানুষের কাজ কর্ম বন্ধ। ক্ষুধা তৃষ্ণায় মানুষের জীবন সঙ্কটাপূর্ণ। তখন একটু সরকারি সাহায্য পাওয়ার আশায় রিকসা চালক হযরত আলী গিয়েছিল ডিসির অফিসে। সেখানে গিয়ে সে দেখল তার আগে আরও অনেকে সাহায্যের আশায় দাঁড়িয়ে আছে । সেখানে অপেক্ষমান মানুষের হাহাকার আর কষ্টের কথা শুনে নিজের কষ্টের কথা ভুলে যায় সে। তার মনে হয় দেশের এই চরম দুঃসময়ে মানুষের জন্য তারও কিছু করা উচিৎ। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। সেদিন সে খালি হাতেই ডিসির অফিস থেকে ফিরে আসে । পরের দিন পরিবারের কাউকে কিছু না বলে তার একমাত্র সম্বল বর্গা দেওয়া বাছূরটি ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে। বিক্রিত টাকার সামান্য অংশ নিজের জন্য রেখে বাকী ১২ হাজার টাকা ডিসি অফিসের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেছিল। ভাগ্য চক্রে আজ সে হযরত আলী প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই চাইছে।
গত রোববার, জামালপুর পৌর এলাকা পাথালিয়া গ্রামের বাসিন্দা হতদরিদ্র মোঃ হযরত আলী নাওভাঙ্গা চর আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘর বরাদ্দ চেয়ে মেয়রের কাছে আবেদন করেছে।
দেশের চরম দুঃসময়ে হযরত আলীর সে অবদান ও আজকের আবেদন কতটুকু গুরুত্ব পায় সরকার ও তার জনপ্রতিনিধিদের কাছে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।