আ.জা. ডেক্স:
দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যুহার এবং শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল রোববার সচিবালয়ে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংবাদকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে মৃত্যুহার ও রোগী কমেছে। বাসায় বসে রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন। করোনাভাইরাস টেস্ট কিটের অভাব নেই। বন্যার কারণে ও বাসায় বসে চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে রোগী কমছে। মুমূর্ষু রোগী ছাড়া কেউ হাসপাতালে আসছেন না বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, এখন ৮০টি ল্যাব ও কিটের কোনো সংকট নেই। আমরা সব সময় আহবান করছি আপনারা টেস্ট করান। আমরা দেখেছি টেস্টের সংখ্যা কমেছে, এটা সত্যি। সেটা একদিকে হয়তো বন্যার কারণে। আর টেস্ট করাতে কিছু মানুষের অনীহাও আছে, যে এমনি ভালো হয়ে যাচ্ছি। এটাও একটা কারণ হতে পারে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, মানষের ভিতরে এখন একটা কনফিডেন্স ডেভেলপ করেছে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে মৃত্যুর হারটা আস্তে আস্তে কমে এসেছে। মানুষ সেবা পাচ্ছে হাসপাতালে এবং টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে। ৪/৫ হাজার ডাক্তার টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছেন। যারা রোগী তারা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রায় ৯০ শতাংশ। প্রয়োজনে ওষুধ পর্যন্ত বাসায় পৌঁছে দেওয়ার সেবা দেওয়া হচ্ছে। যখন ক্রিটিক্যাল হয় তখন তারা হাসপাতালে যায়। হাসপাতালে আসার সংখ্যা কমে গেছে। হাসপাতালেও প্রায় ৬০ শতাংশ সিট খালি। রোগীর সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। যেহেতু অল্পতেই ঘরে থেকে ভালো হয়ে যায়, আমরা লক্ষ্য করেছি যে টেস্ট করতেও তাদের মধ্যে অনীহা।
আমরা সব সময় আহবান করবো আপনারা আসেন, টেস্ট করান। টেস্টের ল্যাবেরও কোনো আভাব নেই, কিটেরও কোনো অভাব নেই। রোগী কমছে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি মৃত্যুর হার কমছে। হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল রোগী নেই বলে ৬০ শতাংশ সিট খালি। কেউ অসুস্থ হয়ে ক্রিটিক্যাল না হলে হাসপাতালে যায় না। আবার সুস্থ হওয়ার হারও অনেক বেশি, এখন প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে বলতে পারি- আমাদের রোগীর সংখ্যা অবশ্যই কমে যাচ্ছে। রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ার মানেই হলো আক্রান্তের সংখ্যাও মনে করি কমে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূরসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।