বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার পরে আর রাজনীতি করার সুযোগ কোথায়, তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার বিকালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রীদের কেউ কেউ বলছেন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার সুযোগ রয়েছে, কেউ বলছে সুযোগ নেই, আসলে বিষয়টা পরিষ্কার করবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া, তিনি কি দণ্ডাদেশ থেকে মুক্তি পেয়েছেন? তিনি কি মুক্তি পেয়েছেন? যেটুকু পেয়েছেন সেটা মানবিক কারণে। শেখ হাসিনার উদারতার জন্য পেয়েছেন। কি জন্য? মানবিক কারণটা কেন? অসুস্থ মানুষকে মানবিক কারণে তার দণ্ডাদেশ থেকে মুক্ত নয়, স্থগিত করা হয়েছে।”
“কি জন্য? তিনি অসুস্থ। অসুস্থ না হলে তিনি থাকতেন কোথায়? কারাগারে। তাহলে রাজনীতি করার সুযোগ কোথায়? দণ্ডিত ব্যক্তির রাজনীতি করার সুযোগ কোথায়? দণ্ডিত ব্যক্তি তো জেলে থাকবে। মানবিক কারণে সেটা শেখ হাসিনা করেছেন। কিন্তু দণ্ডিত ব্যক্তি তো থাকবে জেলে।”, যোগ করেন এ আওয়ামী লীগ নেতা।
বিএনপিও এই বিষয়টি অবগত জানিয়ে কাদের বলেন, “আর, দণ্ডিত ব্যক্তির ব্যাপারে তাদের সন্দেহ না থাকলে তারা ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছেন? নিশ্চয়ই ইনি ভ্যালিডেবল না, সে জন্য তাকে বাদ দিয়েছে, কি ঠিক?”
এ সময় বিএনপিকে এই দেশের নষ্ট রাজনীতির হোতা দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই দেশে সন্ত্রাসের জন্মই দিয়েছে বিএনপি। ক্ষমতায় থাকতেই তারা সন্ত্রাস করেছে। আজকে তাদের মুখে সন্ত্রাসের বয়ান আমাদের শুনতে হচ্ছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে যেখানেই গেছে তারা আক্রমণ, হামলা করেছে। গৌরনদীতে হামলা, তার পরে চট্রগ্রামে হামলা, ঈশ্বরদীতে হামলা, কলারোয়ায় হামলা, তার পরে গ্রেনেড হামলা তো আছেই।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজনীতি বিএনপি শুরু করেছে। সন্ত্রাসের সঙ্গে বিএনপির নাম সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। সন্ত্রাসের অপর নাম হচ্ছে বিএনপি। বাংলাদেশে নষ্ট রাজনীতির ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। তারাই নষ্ট রাজনীতির হোতা। আর আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, শাহাবউদ্দিন ফরাজী, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন নিখিলসহ ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।