Saturday, September 30, 2023
Homeদেশজুড়েজেলার খবরখুঁটি গেড়ে রাস্তা বন্ধের অভিযোগ, বিপাকে ৪০০ শিক্ষার্থী

খুঁটি গেড়ে রাস্তা বন্ধের অভিযোগ, বিপাকে ৪০০ শিক্ষার্থী

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ভোরন্ডা গ্রামের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের রাস্তার মাটি কেটে এবং খুঁটি গেড়ে বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় আউটশাহী রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয় ও ভোরন্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী। এমন অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের আমির হোসেন শেখের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অভিযুক্ত আমির হোসেন তার বাড়ির সামনের রাস্তার পূর্ব পাশের মাটি কেটে বসতবাড়ি ভরাট করছেন। ওই রাস্তার মাটি ছাড়াও রাস্তার পাশের আরও দুইটি তিন ফসলি জমির মাটি কাটার ফলে রাস্তার অবশিষ্ট মাটি ধসে পরার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আউটশাহী রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদ সিকদার বলেন, আমরা এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাই। এখন রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে তিন কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে স্কুলে যেতে হবে। আমাদের গ্রামের তিন থেকে চারশো ছাত্রছাত্রী প্রাইমারি এবং হাই স্কুলে পড়ে, তারা সবাই এই রাস্তা দিয়ে যায়।

স্থানীয় মোজাম্মেল হোসেন বলেন, জন্মের পর থেকে দেখছি ভোরন্ডা গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে সুবচিনি বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় যাতায়াত করছেন। বেশ কয়েক বছর আগে গ্রামবাসী নিজস্ব অর্থায়নে এ রাস্তাটির মাটি ভরাট করে। কিন্তু নিজের সম্পত্তি দাবি করে আমির হোসেন ওই রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়ে বর্তমানে রাস্তার মাটি কেটে নিয়ে বসতবাড়ি তৈরি করছেন। এতে আমাদের ৩ কিলোমিটার ঘুরে হাটবাজারে যেতে হবে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ঠান্ডু শিকদার বলেন, আমি আমার নিজের টাকায় গ্রামবাসীর যাতায়াতের জন্য রাস্তাটিতে মাটি ভরাট করে দেই। রাস্তাটি বেঁধে দেওয়ার পরে ওই রাস্তায় ২২টি মেহগনি গাছ লাগিয়েছিলাম। গাছগুলো সবেমাত্র একটু বড় হয়েছে। ২২টি গাছ বাইশ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন আমির হোসেন। এছাড়া সে রাস্তার মাটি কেটে নিয়ে নিজে বাড়ি বানাচ্ছেন। রাস্তার মাঝের অংশে খুঁটি গেড়ে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছেন। এই রাস্তাটা দিয়ে ভোরন্ডা গ্রামের কয়েক হাজার লোক পাশের সুবচিনি বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় যাতায়াত করে। এই গ্রামের ৩ থেকে ৪শ’ ছাত্রছাত্রী রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ রাস্তা দিয়ে পড়তে যায়। তিনি আরও বলেন, আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। তহসিলদার এসে মাটি কাটতে নিষেধ করে গেছে তারপরও তিনি কাটছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আমির হোসেন ওই সম্পত্তি তার নিজের দাবি করে বলেন, আমি আমার সম্পত্তির মাটি কাটছি। আমি আমার জমির উপর দিয়ে কোনো রাস্তা দিব না। পাশের ফসলি জমির মাটি কাটার অনুমতি নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধরে নেন আমি অনুমতি নিয়েছি। তবে অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে অথবা কার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন জানতে চাইলে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা আফরিন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখতেছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments