গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনি তদন্ত কমিটিকে কাজ শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৪ জানুয়ারি আসনটিতে পুনরায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালাম জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে কমিটিকে কাজ শুরু করার জন্য নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে একাদশ জাতীয় সংসদের শূন্য ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনের ফলাফল গেজেটে প্রকাশ পর্যন্ত সময়ের জন্য নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মো. সুলতান মাহমুদ, বিজ্ঞ যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ, গাইবান্ধা এবং মো. শহীদুল ইসলাম, বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ, গাইবান্ধা-এর সমন্বয়ে ‘নির্বাচনি তদন্ত কমিটি’ গঠন করে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১২ অক্টোবর ওই আসনের সব ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বন্ধ ঘোষিত আসনে আগামী 8 জানুয়ারি ভোটগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা হওয়ায় ওই কমিটির কার্যক্রমও স্থগিত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ভোটের নতুন তারিখ দেওয়ায় নির্বাচনি তদন্ত কমিটির কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করে ব্যাপক অনিয়ম পাওয়ায় ১২ অক্টোবরের ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেছিল কমিশন। এরপর তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায়ও এনেছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে গত ১ ডিসেম্বর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তা, পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তির সিদ্ধান্ত দেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর গত ৭ ডিসেম্বর ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। এতে আগের প্রার্থীদের প্রার্থিতা বহাল রাখা হয়।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন- মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প ধারা), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র)।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে এ সংসদীয় আসন গঠিত। এতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ফুলছড়ির সাতটি ইউনিয়নে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ জন এবং সাঘাটার ১০টি ইউনিয়নে ২ লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন ভোটার রয়েছেন।