আ.জা. ডেক্স:
গাজীপুরের টঙ্গীতে তরুণীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আমিনুর মিয়া (২৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার ভোর রাতে টঙ্গীর মাছিমপুর নামা বাজার বস্তির একটি ঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমিনুর জামালপুর সদর উপজেলার হাজীপুর (অরাঙ্গাটি) গ্রামের নুনু মিয়ার ছেলে। টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি শাহ আলম জানান, গত শুক্রবার সকালে ভিকটিমের বাবা টঙ্গী পশ্চিম থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়েরের পর আমিনুরকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে আদালতে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, অভিযোগ পাওয়া যায়, গত ৫ জুলাই টঙ্গীর অলিম্পিয়া স্কুল মাঠে স্থানীয়দের নিয়ে বিষয়টি টাকার বিনিময়ে মীমাংসার চেষ্টা চালায় গাজীপুর মহানগরের ৫৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পারভেজ ঢালি, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম সানি ও সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন হোসেন। ওই তিন ছাত্রলীগ নেতা অভিযুক্ত আসামি আমিনুরকে মারধর ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে মীমাংসার কথা বলে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং তার কাছ থেকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র ও খোলা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ভিকটিমের বাবা বলেন, কয়েকদিন আগে টাকা নিয়ে স্থানীয়রা সালিশ করেছিল। কিন্তু আমরা কোনও টাকা পাইনি।
প্রসঙ্গত, প্রায় দেড় বছর আগে টঙ্গীর কলাবাগান বস্তির এক তরুণীর সঙ্গে গার্মেন্টসকর্মী আমিনুরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দেড় মাস আগে আমিনুর ওই তরুণীকে গাজীপুর মহানগরের গাছা (তারগাছ) এলাকার একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও তরুণীর ইমো অ্যাপে পাঠায়। ভিডিওটি এলাকার আরও কয়েকজনের কাছে চলে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের তিন নেতা স্থানীয়দের নিয়ে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ তদন্তে নামে এবং অভিযুক্ত আমিনুর মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) সহকারী কমিশনার (এসি, টঙ্গী) পিযূষ দে বলেন, ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার কোনও সুযোগ নেই। যে তিন জন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।