কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা অবরোধ দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। অবরোধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতের বাস ছেড়ে যায়নি। বন্ধ রয়েছে শাটল ট্রেনের চলাচল।
তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে আপাতত মূল ফটক খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারছে।
রোববার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৩৭৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ৬৯ জন সহসভাপতি, ১২ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক রাখা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে অবরোধের ডাক দেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা। এ সময় ক্যাম্পাসের সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এর পর সোমবার রাত দেড়টায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে তালা দেন বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
অবরোধের কারণে ক্যাম্পাস থেকে গতকাল নগরীর উদ্দেশ্যে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনও আটকে দেওয়া হয়েছে।
চবির ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক চৌধুরী আমির মোহাম্মদ মুছা জানিয়েছেন, অবরোধের কারণে দ্বিতীয় দিনের মতো আজও ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত হতে পারে। শাটল ট্রেন চলাচল না করলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারবেন না। তাই আজও ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত হতে পারে। তবে পরীক্ষার বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। এই সিদ্ধান্ত বিভাগের সভাপতি নেবেন।