ভোলার লালমোহনে চিকিৎসকের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রসূতি মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই প্রসূতির নাম সিমু বেগম। তিনি উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নাজিরপুর এলাকার প্রবাসী রিয়াজের স্ত্রী।
এ বিষয়ে প্রসূতির বড় বোন রুনা বলেন, রোববার রাতে সিমুর প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। পরে সিমুর আলট্রাসনোগ্রাম প্রয়োজন হলে গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ ক্লিনিকের ডাক্তার শাহনাজ পারভীনের কাছে আলট্রাসনোগ্রাম দেখাতে গেলে তিনি প্রসূতিকে এখানেই ভর্তি হতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, ডাক্তার শাহনাজ পারভীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার হওয়ায় তাকে বিশ্বাস করে আমরা ক্লিনিকে ভর্তি হই। কিন্তু সোমবার ভোরে যখন সিমুর তীব্র প্রসববেদনা দেখা দেয় তখন ডাক্তার শাহনাজ পারভীনকে অনেক খুজেও পাওয়া যায়নি। তাই ক্লিনিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মী পারভীন ও কর্তব্যরত নার্স সোনিয়া এসে সিমুর ডেলিভারি করান। তাদের অনভিজ্ঞতার কারণে নবজাতক মারা যায়। একই সঙ্গে সিমুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে ডাক্তার শাহানাজ পারভীন বলেন, ওরা আমার কাছে ভিজিট দিয়ে দেখাতে এসেছে। আমি তাদের সিজারের পরামর্শ দিলে তারা নরমাল ডেলিভারির জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। নরমাল ডেলিভারিতে শিশু মারা গেছে, এরপর আমি গিয়ে যা যা করার তা করেছি।
এ বিষয়ে গ্রীণ লাইফ ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালের পরিচালক আক্তার হোসেন ঝন্টু বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। শুনেছি ওরা দায়িত্বে অবহেলা করেছে।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৈয়বুর রহমান বলেন, ডাক্তার শাহানাজ পারভীন বিনা বেতনে ৬ মাসের ছুটিতে আছেন। ছুটিতে থাকাকালীন তিনি কি করেন তা আমার জানা নেই। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা কোন রোগীকে ক্লিনিকে ভর্তি হতে উৎসাহিত করার বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।