শেরপুর সংবাদদাতা :শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ভারতে তৈরি ছয়টি এয়ারগানসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছেন এক মোটরসাইকেল চালক ও অটোচালক। শুক্রবার রাতে উপজেলার সীমান্ত সড়কের লাল টেঙর পাহাড়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত মাসুম বিল্লাহ বুলবুল (৩০) ঝিনাইগাতী উপজেলার গিলাগাছা গ্রামের ওয়াহাব মিয়ার ছেলে। পলাতক মোটরসাইকেল চালক সাইদুল ইসলাম (৩২) ঝিনাইগাতীর কালীবাড়ী বানিয়াপাড়ার আবু তাহেরুল ইসলামের ছেলে ও পলাতক অটোচালক মো. মনির হোসেন (২৫) একই উপজেলার গিলাগাছার মৃত শামসুল হকের ছেলে।
শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান রাসেল।
জেলা পুলিশ সুপার জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে সীমান্তবর্তী বারোমারী থেকে সমশ্চূড়াগামী লালটেঙ্গুর পাহাড়ের সামনে সড়কে অবস্থান নেয় নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ। পরে সীমান্তের দিক থেকে সন্দেহভাজন একটি মোটরসাইকেল ও একটি অটোরিকশা আসলে তাদের গতিরোধের চেষ্টা করা হয়। তখন মোটরসাইকেল চালক পুলিশের উপর দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল তুলে দিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে আহত করে মোটরসাইকেল রেখে অন্ধকারে পাহাড়ের ভেতর পালিয়ে যায়। এ সময় অটোরিকশা থেকে ছয়টি এয়ারগানসহ বুলবুলকে আটক করা হয়। আর বাকীরা গহীন পাহাড়ে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বুলবুল আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, আটককৃত বুলবুল ও পলাতক সাইদুল ইসলাম এবং মনির হোসেনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া মাসুম বিল্লাহ বুলবুলকে শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুইজনকে আটক করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।