জামালপুর সদরের শরিফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন।
শরিফপুর ইউনিয়নের গোদাশিমলা বাজারে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলার ঘটনায় একে অপরকে দায়ী করেছে দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। আর এ ঘটনার পর ইউনিয়ন সম্মেলন স্থগিত করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান স্বপন বলেন, “প্রতিদ্বন্দ্বী দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায় শরিফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।”
ঘটনার বর্ণনায় স্থানীয়রা জানান, শনিবার শরিফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সন্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনকে ঘিরে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম আলী ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সরকার মাসুমের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত ও ৭/৮ টি দোকান ভাঙচুর হয় এবং কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয় বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রফিকুল ইসলাম আলম বলেন, “কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে রাতে গুদাশিমলা বাজারে সম্মেলন উপলক্ষ্যে সভা করতে যাই। এ সময় মাসুম দলবল নিয়ে সভাস্থলে হামলা চালিয়ে আমাদের মারধর ও গুলিবর্ষণ করে। এতে আমার ৪-৫ জন কর্মী আহত হয়।”
এদিকে হামলার ঘটনা অস্বীকার করে মাহমুদুল হাসান সরকার মাসুম বলেন, “আলম দলবল নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। হামলার সময় বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুরও করা হয়।
“এ ঘটনায় আমি ও আমার সমর্থক মারুফ হাসান মুন্না, আরিফ বাচ্চু, লিখন মিয়া ও সাব্বির হোসেন আহত হই। পরে আমাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়।”
এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।