গুণী এই নির্মাতার স্মৃতি ধরে রাখতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এমন প্রত্যাশা আমজাদ হোসেন চর্চা কেন্দ্রের।
আমজাদ হোসেনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মরণে মৌন শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়।
বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও অভিনয়শিল্পী আমজাদ হোসেনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে জামালপুরে মৌন শোভাযাত্রা করা হয়েছে।
আমজাদ হোসেন চর্চা কেন্দ্র আয়োজিত মৌন শোভাযাত্রাটি বুধবার দুপুরে
স্থানীয় বকুলতলা চত্বর থেকে বের হয়ে জামালপুর পৌর কবরস্থানে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।
পরে আমজাদ হোসেনের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমজাদ হোসেন চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী, সাধারণ সম্পাদক কবি সাযযাদ আনসারী, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী ইমাম দুলাল, আমজাদ হোসেনের ছোট ভাই ফরহাদ হোসেন মানু, বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুলসহ পরিবারের সদস্যরা।
উপস্থিত ব্যক্তিরা গুণী এই চলচ্চিত্র নির্মাতার স্মৃতি ধরে রাখতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এমন প্রত্যাশার কথা জানান।
১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুরে জন্ম নেওয়া আমজাদ হোসেন চিত্র পরিচালনার বাইরে লেখক, গীতিকার, অভিনেতা হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন।
‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে ১৯৬১ সালে রূপালি পর্দায় তার আগমন। পরে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় তিনি বেশি সময় দেন।
সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’র চিত্রনাট্য লেখায় জহির রায়হানের সঙ্গে আমজাদ হোসেনও ছিলেন।
১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘খেলা’। তার ‘নয়নমনি’, ‘ভাত দে’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘কসাই’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র দর্শক ও বোদ্ধামহলের প্রশংসা পায়।
তার লেখা ও নির্মিত টিভি নাটকও ছিল জনপ্রিয়।
চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান আমজাদ হোসেন। এছাড়া সরকার তাকে একুশে পদকেও ভূষিত করে।
৭৬ বছর বয়সী আমজাদ হোসেন ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।