নিজস্ব সংবাদদাতা:
জামালপুরে ভয়াবহ বন্যার পানি নামতে না নামতে জমে উঠেছে কুরবানীর পশুর হাট । ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে জেলায় ৪০টি ও একটি অনলাইন কুরবানীর পশুর হাট বসেছে । হাট গুলোতে প্রায় ১লাক ৮হাজার পশু উঠেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই হাটে চলছে বেচা বিক্রি । ক্রেতারা চাহিদা মত পশু কিনে সন্তুষ্ট প্রকাশ করলেও বিক্রেতা লোকসানের মুখে পরেছে বলে জানাযায়।দিন যত গড়াচ্ছে জমজমাট হয়ে উঠছে জেলার পশু হাটগুলো ।
এবারের বন্যা অপরিবর্তিত থাকলেও জেলার কুরবানীর পশুর হাট গুলো জমে উঠেছে । প্রতিটি হাটে যেমন কুরবানীর পশু উঠেছে তেমনি ক্রেতারদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ছে। বন্যার কারনে পশুর দাম তুলনা মুলক কম থাকায়, ক্রেতারা পছন্দ মত পশু নিবার্চন করে কুরবানীর প্রস্তুতি নিচ্ছে ।
অপর দিকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা হাটে এসে শতশত পশু ক্রয় করছে। গত বছরের তুলনায় এবার তুলনা মুলক দাম কম থাকায়, প্রতিদিন ট্রাকে করে প্রচুর পশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে ।
ঢাকার পাইকার আজিজুল হক জানান, জামালপুরে দেশী উন্নত জাতে গরু ভাল পাওয়া যায়। এখানকার পশুর চাহিদাও ক্রেতার কাছে বেশি থাকায়। আমরা প্রতি বছর এ জেলায় হাট করি, তবে এবার তুলনা মুলক দাম একটু কমে পাওয়া যাচ্ছে।
চলমান বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নিম্নাঞ্চালে ও দুর্গমচরাঞ্চলের সাধারন কৃষকেরা। টানা এক মাসের বেশি সময় ধরে পানিতে তলিয়ে থাকা গো চারণ ভুমি,গরুর খাদ্য ও গোয়লঘর ।বিশেষ করে দীর্ঘ সময়ে গরুর চরম খাদ্য সংকটের কারনে কিছুটা স্বাস্থ্যহানী এবং গরুর নিরাপদ স্থান না থাকার কারনে পশুগুলোকে রাখতে পারছেনা কৃষক। তাই পশুর হাটগুলোতে সঠিক মুল্য পাচ্ছে না বলে জানান গরু বিক্রেতা কৃষক সালাম মোল্লা,করিম শেখ আব্দুল্লাহ ও কালু মিয়া ।
এদিকে হাট ইজারাদারা জানায়,হাটে প্রচুর লোকের সমাগম ঘটছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা হাট পরিচালনা করছি । এছাড়াও সাবান দিয়ে হাত ধূয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে । প্রতিদিন ভাল বেচা বিক্রি হওয়ায় এবারের কুরবানীর হাট প্রাণ ফিরে পেয়েছে। দাম সবার সাধ্যমত থাকায় বেচা কেনার পরিমান বাড়ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোখলেছুর রহমান জানান, জেলার হাট গুলো পরিচালনা কমিটির সাথে সভা করে জানান হয়েছে স্বাস্থ্য বিধি মেনে হাট চালাতে হবে । এছাড়াও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে ।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ ওমেদ আলী জানান, এবারের কুরবানীর হাটে অনেক পশু উঠায় ভাল বেচা বিক্রি হচ্ছে । জেলার ৪০টি হাটে ১৮টি মেডিকেল টিম কাজ করছে , এখন পর্যন্ত কোথাও কোন রোগাক্রান্ত পশু পাওয়া যায়নি। এবারের বন্যায় কৃষকের প্রায় ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হলেও কুরবানীর পশুগুলো রোগে আক্রান্ত হয়নি।যার কারনে কৃষকের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।