এম,এ কাশেম:
“সোনালী আঁশের সোনার দেশ, মুজিব বর্ষে বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যের আলোকে পাট অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের পাট উৎপাদনকারী ১ শত জন চাষীদের নিয়ে জামালপুরে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন অডিটরিয়ামে জামালপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাট ও বীজ উৎপাদনকারী চাষীদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের অধিনস্থ জামালপুর পাট উন্নয়ন অধিদপ্তর। জামালপুরের পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ভিডিও কলের মাধ্যমে ঢাকা থেকে অংশ নেয় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম-সচিব ও বাংলাদেশ পাট উন্নয়ন অধিদপ্তরের (পরিচালক পাট) এইচ এম আশরাফ ইমাম। জামালপুরের বীজ বিপণন বিএডিসি’র উপ-পরিচালক খগেন্দ্র চন্দ্র রায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাখাওয়াত ইকরাম, জামালপুর পাট অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক মঞ্জুরুল হক বাদল, সদর উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস, সরিষাবাড়ী উপজেলার পাট পরির্দশক আরঙ্গ দেব প্রমুখ।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বক্তারা জামালপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী পাট উৎপাদন ও পাট বীজ উৎপাদনকারী চাষীদের দেশের উন্নত পাটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা আরোও বলে, কিভাবে উচ্চ ফলনশীল পাট চাষের জন্য একজন কৃষক তার জমি প্রস্তুত করবে, কতটুকু জমিতে কতটুকু বীজ বপণ করবে, পাটের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পাট গাছের দূরত্ব, আগাছা পরিষ্কার, জমিতে সেচ প্রদান, পাট কাঁটার পর পাটের ঝাঁক বা পচন পদ্ধতি, পাট পরিস্কার পদ্ধতি ও পাটের উচ্চ ফলনের বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। এছাড়াও পাটের বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ, দেশে ও বিদেশে পাটের চাহিদা ও গুরুত্ব, পাটের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের ব্যবহার ও চাহিদা, সরকার নির্ধারিত দামে কৃষক যাতে পাটের মূল্য পেতে পারে সেই লক্ষ্যে পাট চাষীদের সচেতন করা। পাটের বীজযাতে বিদেশ থেকে আমদানি না করতে হয় এবং দেশের চাহিদা পুরনে নিজেদের বীজ কৃষক যেন নিজে উৎপাদন করতে পারে সেই বিষয়েও উপস্থিত চাষীদের অবহিত করা হয়। পাটের রোগ ও প্রতীকারে বিষয়েও অবহিত করণ করা হয়। পরে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ১’শ জন কৃষককে তাদের সম্মানি ও পাটের ব্যাগ উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।