জামালপুর সদর উপজেলায় প্রেমিকার বাবার হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে আলিফ হোসেন (১৪) নামে এক কিশোর। জিআই তার ও কাঠের টুকরা দিয়ে পিটিয়ে তার মাথা, পিঠ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার রাতে উপজেলার নরুন্দি ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় প্রেমিকার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্র নরুন্দি নয়াপাড়া গ্রামের ফল ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত কোহিনূর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আহত আলিফ হোসেন (১৪) জানায়, সে সদর উপজেলার নরুন্দি ইউনিয়নের নরুন্দি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। প্রায় এক বছর ধরে তার ক্লাসমেটের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। রোববার রাত ৯টার দিকে ফোন পেয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে নয়াপাড়া এলাকায় যায় সে। এ সময় মুখোশ পরা তিনজন যুবক তাকে জোর করে ধরে প্রেমিকার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে রাতভর তাকে নির্যাতন করা হয়। প্রেমিকার বাবা কোহিনূর হোসেন ও ভাই মনি কাঠ ও জিআই তার দিয়ে তার মাথা, পিঠ, দুই বাহু, দুই পা এবং পায়ের তলায় বেদম পিটুনি দিয়ে মারাত্মক জখম করে।
ওই ছাত্র আরও জানায়, নির্যাতনের একপর্যায়ে সোমবার ভোরে তার প্রেমিকা ঘরের অন্য কক্ষে চিৎকার করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালালে তারা নির্যাতন বন্ধ করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রের বাবা জাকির হোসেন বাদী হয়ে প্রেমিকার বাবা কোহিনূর হোসেন ও ভাই মনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে সোমবার দুপুরে থানায় মামলা করেছেন।
জামালপুর সদর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, স্কুলছাত্রকে রাতভর নির্মমভাবে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। কোহিনূর হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।