নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যাপক ভাবে বৃক্ষ নিধন ও বজ্র নিরোধে বৃক্ষ (তালগাছ) কাটার ফলে জলাবায়ু পরিবর্তনসহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রতিবছর বহু লোক বজ্রপাতে অনাকাঙ্খিত ভাবে মৃত্যুবরণ করছে। অনাকাঙ্খিত এই মৃত্যুহ্রাসের লক্ষে সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে ব্যয় বহুল বজ্র নিরোধে দন্ড স্থাপন করেছে। এরপরেও গ্রাম অঞ্চলে বজ্র নিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই বজ্রপাত নিরোধে তালগাছের বীজ রোপণের লক্ষ্যে সোমবার সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার পাশে তালগাছ রোপণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান। এসময় তার সাথে ছিলেন কেন্দুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম খান সোহেল, ইউপি সচিব মোঃ আতাহার আলী, ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল মোতালেব, শাহীনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, সংরক্ষিত ইউপি সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়ে রাস্তার দুপাশে তাল বীজ রোপন করেন। তালগাছের বীজ রোপণের উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান বলেন এক সময় আমাদের চারিপাশে অনেক বৃক্ষ ছিল যার মধ্যে তালগাছ ছিল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের(বজ্রপাত) হাত থেকে রক্ষা করার একটি উপকারী গাছ। আজ বৃক্ষ নিধন করার ফলে প্রতিনিয়ত বজ্রপাতে অনাকাঙ্খিত ভাবে মৃত্যুবরণ করছে। তাই ১৫টি ইউনিয়নের ১৫ হাজার তালগাছ রোপন করে আমরা এই অনাকাঙ্খিত মৃত্যুবরণ রোধ করতে পারি। এই জন্য চাই সকলের সার্বিক সহযোগিতা। এ বিষয়ে কেন্দুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম খান সোহেল বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সদর উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার তালবীজ রোপন করা হবে। এর মধ্যে থেকে যদি ৫ হাজার গাছ জন্ম নেয় সেটাও আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া, তাই সকলকে বজ্রপাত নিরোধে তালবীজ রোপন করার আহবান জানাচ্ছি। জানা যায় কেন্দুয়া ইউনিয়নে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এবং কেন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় ও বেসরকারি এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার চারা রোপন করা হবে।