জামালপুর শহরের ভুরি ব্যবসায়ী আব্দুল বাক্কী হত্যা মামলার বাদীর পরিবার ও সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন নিহত আব্দুল বাক্কীর ছোট ছেলে সুমন মিয়া।সুমন মিয়া বলেন, চলতি বছরের ২৪ মার্চ বিকালে প্রতিবেশী মৃত সুরুজ আলীর ছেলে আকরাম (৪২), আকরামের স্ত্রী কামরুন্নাহার ও মুসলিমাবাদের বাসিন্দা মৃত নুরু ইসলামের ছেলে সাইদুল সরকার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে আমার বাবা আব্দুল বাক্কীকে মারপিট করে হত্যা করে। এ ঘটনায় আমার মা ময়না বেগম বাদী হয়ে জামালপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামিরা পলাতক থাকে। সম্প্রতি তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসে। এরপর থেকেই আসামিরা মামলার বাদী, আমাকে, আমার পরিবারের সদস্য ও মামলার সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হত্যার হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য সরাসরি চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে।তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আমি বাড়ির সামনে পাইলিং রোডে অবস্থান করার সময় মামলার প্রধান আসামি আকরাম ও অজ্ঞাত দুজন মোটরসাইকেলযোগে এসে আমাকে মামলার তুলে নিতে বলে। মামলা তুলে না নিলে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের গুম করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনা পর থেকেই আমি, আমার পরিবারের সদস্য ও সাক্ষীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রাণনাশের ভয়ে আমরা বাড়ি থেকে বের হতেও ভয় পাচ্ছি।
সুমন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আকরাম আলী জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হয়ে কিভাবে কোটিপতি হয়? জামালপুর শহরের কয়েক জায়গায় তার জমি ও বাড়ি রয়েছে। তিনি রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। যত চাপই সৃষ্টি করুক আমি আমার পিতার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে আকরাম আলী বলেন, এ অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কাউকে কোনো ভয়ভীতি দেখাইনি। আমি এখন এলাকাতেই ঢুকি না। মাঝেমধ্যে এলাকাতে গিয়ে আমার মাকে দেখে চলে আসি। যে সময়ের কথা বলা হয়েছে সেই সময়ে আমি পাইলিংয়ে ছিলাম না।
জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, আসামিরা এখন জামিনে রয়েছেন। তারা নাকি বাদী পক্ষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এমন একটি অভিযোগ এসেছে। এখন আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত করে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।