নিজস্ব সংবাদদাতা: জামালপুরে দুই প্রসূতী নারী মোট ৮জন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এদের মধ্যে একজন শিশু মারা গেলেও জীবিত রয়েছে ৭জন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ও রাতে তাদের জন্ম হয়।
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ারচর গ্রামের কৃষক সাজু মিয়ার(৪০) স্ত্রী দুলেনা বেগম (৩৫) গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সন্তান প্রসবের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে রাত ১১টার দিকে হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে স্বাভাবিক প্রসব হয় দুলেনার, এ সময় তিনি ৪ জন সন্তান প্রসব করেন। এদের মধ্যে ৩জন মেয়ে ও একজন ছেলে, কিন্তু জন্মের সময়ই মার যায় ছেলে সন্তানটি। বর্তমানে মা ও তিন কন্যা শিশু সুস্থ রয়েছে। সাজু-দুলেনা দম্পতির আগেও আরও ৫টি সন্তান রয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন মেয়ে ও দুইজন ছেলে। এনিয়ে মোট ৮টি সন্তান পেয়ে বেশ খুশি এই দম্পতি, সন্তানদের জন্য দোয়া চেয়েছেন তারা।
এদিকে, জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চর সরিষাবাড়ী গ্রামের কাঠ মিস্ত্রী আতাউর রহমান বাবুর(২৩) স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম (২২) গতকাল বৃহস্পতিবার জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়ায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে সন্তান প্রসবের জন্য ভর্তি হন। পরে সন্ধ্যায় ডা. খায়রুল বাশার পলাশ অস্ত্রপোচার করেন, এ সময় মোট ৪টি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু তাদের ওজন কম হওয়ায় পরবর্তীতে ওই শিশুদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছে। তবে মা ও সন্তান সুস্থ রয়েছে বলে জানান গাইনি সার্জন ডা. খায়রুল বাশার পলাশ। বিয়ের আট বছর পর এই প্রথম একসাথে ৪ কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় খুশি বাবা আতাউর রহমান বাবু, তিনি সকলের কাছে তার স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মুহা: মাহফুজুর রহমান সোহান জানান, হাসপাতালে জন্ম নেয়া ৪ নবজাতকের মধ্যে জীবিত তিন কন্যা শিশু সুস্থ রয়েছে। তাছাড়া শহরের বেসরকারি এপোলো হাসপাতালে জন্ম নেয়া চার কন্যা শিশুকে জেনারেল হাসপাতালের বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে এবং তারাও সুস্থ রয়েছে। তবে সকল নবজাকের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম। মা ও নবজাতকদের নিবিড় সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।