ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কৃষি প্রণোদনার আওতায় সমলয়ে কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আধুনিক রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের চারা রোপনের কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।গতকাল রবিবার দুপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাস্তবায়নে উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের,ধানশাইল ৪ নম্বর ব্লকে আনুষ্ঠানিকতা ভাবে ধানের চারা রোপনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ডঃ সুকল্প দাস,শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রকৌশলী শিবানী রানী নাথ,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন দিলদার,কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, ধানশাইল উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহরিয়ার শামীম প্রমুখ। জানা গেছে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার এর মাধ্যমে চারা রোপন করতে ড্রাইভার ছাড়া আর কোন শ্রমিক লাগে না । তবে আড়াই বা ৩ লিটার ডিজেল তেল দিয়ে প্রতি ঘন্টায় ১ একর জমিতে ধানের চারা রোপন করা সম্ভব বলে মনে করছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন এর আগে শ্রমিক দিয়ে ধান চাষে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা মজুরি হিসেবে গুনতে হত। এ পদ্ধতিতে ধান বীজ রোপন করায় কৃষকদের সাশ্রয়ী হচ্ছে প্রতি একর জমিতে প্রায় ৩ হাজার টাকা। কৃষির বিপ্লব ঘটাতে ধানশাইল ইউনিয়নে প্রথমবার রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধান বীজ রোপন করছে আর নতুন মেশিন টি একনজর দেখতে দলে দলে ছুটে আসছেন কৃষকরা। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চারা রোপণ ২.০-২.৫ সেন্টিমিটারের মধ্যে সীমিত শিকড় দ্বারা আবদ্ধ মাটিযুক্ত। তবে বিশেষ ধরনের চারা উৎপাদনে এক ধরনের প্লাস্টিক ট্রে অথবা পলিথিন সিটের ওপর বিশেষ ব্যবস্থায় প্লাস্টিক ট্রে ও পলিথিন ম্যাট পদ্ধতিতে তৈরি করতে হয় বীজ তলা। তবে কৃষি শ্রমিকের সংকটই কৃষকদের এই মেশিন ব্যবহারে প্রল্পুদ্ধ করছে বলে জানান, স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। একটি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের দাম ১৪ লক্ষ টাকা কিন্তু কৃষক ৭ লক্ষ টাকা দিলেই পেয়ে যাচ্ছে এই মেশিন। আর বাকী ৫০ ভাগ খরচ ভুতূর্কি হিসেবে সরকার বহন করবে।