ঝিনাইগাতী সংবাদদাতা: শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীর বাদে চল্লিশ কাহনিয়া মৌজায় দিঘীরপাড় গ্রামে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য শেরপুর জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ প্রেরন করেছেন ভূক্তভোগী আহসান হাবিবের ছেলে এমদাদুল হক মোল্লাহ ও এলাকাবাসীগণ। অভিযোগে প্রকাশ জনৈক স্বপন নামে এক ব্যক্তি বালু মহল ইজারা নিয়ে সেখানে বালু না থাকায় নদীর পাড়ের মাটি বেকু গাড়ি দিয়ে কেটে বিক্রি করছেন তিনি। এতে ভূমিধসের আশংকা সহ আশ পাশের বাড়ী ঘরের মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবছর বর্ষার সময় এ নদীতে পাহাড়ি ঢল এসে আবাদি জমিসহ বাড়ি ঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়ে থাকে। বেকু দিয়ে মাটিকাটার ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নদীর তীরবর্তী পাড়ে বসবাসকারী মানুষের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিঘীর পাড় ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসাটিও হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়বে। ভূক্তভোগী এমদাদুল হক জানান, মহারশী নদীর বাদে চল্লিশ কাহনিয়া মৌজায় দিঘীরপাড় গ্রামে প্রায় ৫ একর জমি রয়েছে। ওই জমিতে তিনি মিষ্টি লাউ সহ বৃক্ষরোপণ করেছেন। বালুর ইজারাদার স্বপন মিয়া তার রোপিত গাছ পালা কেটে ও রাস্তাঘাট বিনষ্ট করে দেদারছে মাটি কর্তন করছেন। এতে প্রায় দেড় লক্ষাধীক টাকার সম্পদ ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও জানান দীর্ঘদিন থেকে তাদের দখলে রয়েছে এই জমি। বন্যা জনিত কারণে ওই জমি নদী গর্ভে চলে যায়। পরে পুনরায় বিগত ৭/৮ বছর আগে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় ওই জমি তারা ফিরে পায়। তাদের নামে সিএস ও আরওআর রয়েছে। কিন্তু ভুল বশত বিআরএস রেকর্ডে বাংলাদেশ সরকারের নামে অন্তর্ভুক্তি হয়। ইতিমধ্যেই তিনি রেকর্ড সংশোধনী বিষয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে ইজারাদার স্বপন মিয়া জানান নিয়ম মোতাবেক আমি ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী সহ গ্রামবাসীরা।