শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের চর মালগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনটি পদে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে চাকুরীর আবেদন পরিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার(২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টার সময় চর মালগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিক্ষুব্ধকারীদের দাবি অর্থ বাণিজ্য ও ভুল ঠিকানায় চিঠি প্রেরণ এবং চাকুরী পদ প্রার্থীদের না জানিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার প্রতিবাদে ও দুর্নীতিবাজ নিয়োগ কমিটি বাদ দিয়ে পুনরায় নিয়োগ বোর্ড গঠন করে পরীক্ষা নেওয়া এবং দূর্নীতিবাজ নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
জানা যায়, সম্প্রতি দৈনিক একটি পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ২৫ শে ডিসেম্বর স্কুলটিতে অফিস সহায়ক, নৈশপ্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ পরিক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও কোনরকম নোটিশ ছাড়াই ২৬ শে ডিসেম্বর ঐ পরিক্ষা নেয় নিয়োগ কমিটি। সেদিন পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদের প্রার্থী বিল্লাল মাদবরের অনুপস্থিততেই পরিক্ষা সম্পন্ন করেন কতৃপক্ষ।
পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদের পরিক্ষার্থী বিল্লাল মাদবর বলেন, আমি চিঠি পেয়েছি ২৫ তারিখ রোববার নিয়োগ পরিক্ষা হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু স্কুলের সালাম স্যার বললো পরিক্ষার সময় পরিবর্তন হতেও পারে তোমাকে জানানো হবে। নোটিশ অনুযায়ী আমি সেদিন পরিক্ষা দিতে যাই স্কুলে। স্কুলে সেদিন কোন পরিক্ষার্থী বা প্রধান শিক্ষক বা অন্য কোন শিক্ষককে না দেখে আমি চলে আসি। পরেরদিন ২৬ ডিসেম্বর মডেরহাট বাজারে এসে শুনি যে পরিক্ষা হয়ে গেছে। নিয়োগ ও হয়ে গেছে। অনিয়ম ও দুর্নীতি করে নিয়োগ পরিক্ষা নিয়েছে বলে আমার অভিযোগ। তাই আবার পুনরায় নিয়োগ পরিক্ষা নিয়ে উপযুক্ত ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ার আবেদন জানাই।
নৈশপ্রহরী পদপ্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি ও আমার ভাই নৈশপ্রহরী পদে আবেদন করছিলাম। নিয়োগের পরিক্ষা গত ২৫ তারিখে হবার কথা ছিলো। কোনরকম নোটিশ দেওয়া ছাড়াই সেই পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৬ ডিসেম্বর। আমার ভাই বাইজিদ কে পরিক্ষার হলে হুমকি দিয়ে স্টাম্পে স্বাক্ষর রেখে পরীক্ষা হল থেকে পাঠিয়ে দেয়।
এ বিসয়ে চর মালগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ কমিটির সদস্য মোঃ জয়নাল আবেদিন বলেন, আমরা ২৫ তারিখে পরিক্ষার সময় দিয়েছি তবে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ধানকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা রতন সাহেব আওয়ামীলীগের কেন্দীয় সম্বেলনে ঢাকায় থাকায় আমরা যথা সময় পরিক্ষা নিতে পারি নাই।তাই সকল পরিক্ষার্থীকে আমরা ফোন করে ২৬ তারিখে আসতে বলেছি।কেউ পরিক্ষায় উপস্থিত না হলে কতৃপক্ষ দায়ী না। আর বাইজিত পরিক্ষার হলে নিজেই বলেছে তার খাতায় সুমন মিয়া নামে একজন তার টা লিখে দিছে। তাই নিয়োগ কমিটি তাকে বরখাস্ত করে। যদিও প্রাধান শিক্ষক বাইজিতের লিখিত সেই স্টাম্প দেখাতে পারেননি।
এ বিষয় ডামুড্যা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা।।