আ.জা. ডেক্স:
তিন দিনের সফর শেষে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোভিন্দ ঢাকা ত্যাগ করেছেন। গতকাল শুক্রবার ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আবদুল মোমেন তাকে বিদায়ী অভ্যর্থনা জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ঢাকা ত্যাগের আগে সকালে তিনি ঢাকার রমনাস্থ কালী মন্দিরের সদ্য সংস্কারকৃত অংশের উদ্বোধন করেন এবং মন্দিরটি পরিদর্শন করেন। স¤প্রতি ভারতের অর্থায়নে মন্দিরটির স¤প্রসারিত নতুন ভবনের সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে ভবনটির উদ্বোধন শেষে ভারতের রাষ্ট্রপতি মন্দিরে পূজা অর্চনা ও প্রার্থনা করেন। পরে তিনি মন্দির কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি স্ত্রী সবিতা কোভিন্দ ও মেয়ে স্বাতী কোভিন্দকে নিয়ে রমনা কালী মন্দিরে আসেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। এ সময় কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান মন্দির প্রাঙ্গণে তাদের অভ্যর্থনা জানান।
মুজিব জন্মশতবর্ষ ও মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনে অংশ নিতে তিন দিনের সফরে গত বুধবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সস্ত্রীক ঢাকায় পৌঁছান ভারতীয় রাষ্ট্রপতি। এই তার প্রথমবার ঢাকা সফর। সফরের প্রথম দিনই মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে যান ভারতের রাষ্ট্রপতি। সেখানে তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের নয় মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ ছাড়া একটি চারাগাছ রোপণ ও দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন। স্মৃতিসৌধের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন তিনি।
ওইদিনই বিকেলে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ভারতীয় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বৈঠক বলেন। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রপতির বৈঠক ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এরপর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির আয়োজনে নৈশভোজে অংশ নেন রামনাথ কোভিন্দ ও শেখ হাসিনা। সফরের দ্বিতীয় দিন গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় রাষ্ট্রপতি ১৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘সম্মানিত অতিথি’ হিসেবে যোগ দেন। বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিয়ে ভাষণ দেন তিনি।