দেওয়ানগঞ্জে ভূয়া মাস্টারোলে সরকারি বরাদ্দ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

খাদেমুল ইসলাম : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে ও ভূয়া মাস্টারোলে সরকারি অর্থ বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। রোববার সকালে দেওয়ানগঞ্জ মডেল প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলের আয়োজন করেন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ইব্রাহিম খান। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাদ্দাম হোসেন জাহেদী, উপজেলা যুব লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাবেক কাউন্সিলর মামুনুর রশিদ মামুন, জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আঃ ছালাম সহ অন্যান্য। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগপত্র পড়ে শোনান, জাতীয় শ্রমিকলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ইব্রাহিম খান। তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বানিয়ানীরচর পূর্বমধ্যপাড়া গ্রামের জামিয়া কুরআনিয়া তালিমুলস্সুন্নাহ কওমী মাদরাসার মুহতামিম মুফতি শুয়াইব আহসান গত ২৫/১০/২০২৩ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর মাদরাসার লিল্লাহ বোডিং এর নানাবিধ সমস্যার কথা উল্লেখ করে এতিম অসহায়দের জন্য খাদ্য সহায়তা চান। এর প্রেক্ষিতে গত ২০/১১/২০২৩ইং তারিখে উক্ত মাদরাসার এতিম অসহায়দের জন্য উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ২ টন জিআর বরাদ্দ হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, যে নামে ২ টন জিআর বরাদ্দ নেয়া হয়েছে ঐ মাদরাসায় কোনো লিল্লাহ বোডিং নেই। বরাদ্দের সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করার লক্ষে একটি ভূয়া মাস্টারোল করে পিআইও অফিসে জমা দেন। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ ব্যাপারে ইউএনও বরাবর একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন বলে জানান। এব্যাপারে উক্ত মাদরাসার মুহতামিম মুফতি শুয়াইব আহসানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। যে সময় বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছিলাম , সে সময় এ মাদরাসায় একটি লিল্লাহ বোডিং ছিল। প্রাপ্ত অর্থ সৎ পথে ব্যয় করা হয়েছে। মাদরাসার বয়স সাড়ে ৩ বছর। মাদরাসার কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে বোডিং সাময়িক বন্ধ রয়েছে। ১লা রমজান থেকে মাদরাসায় ফের লিল্লাহ বোডিং চালু হবে।