খাদেমুল ইসলাম : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ২টি সরকারি অফিস দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে মাত্র ৩ জনে। এসব সরকারি অফিস হচ্ছে, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিসংখ্যান বিভাগ ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিস (বিআরডিবি)। ৬ মার্চ বৃহষ্পতিবার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসে গমন করে দেখা যায়, অফিস তালা বন্ধ। কেউ নেই। অনেকে এসে ঘুরে যাচ্ছে। এ সাংবাদিককে সেখানে দেখতে পেয়ে অনেকে জিজ্ঞেস করেন, স্যার অফিস খুলেননি? প্রায়ই এসে ঘুরে যাই। কাউকে পাই না। এ প্রতিনিধি বলেন, আমি একজন সাংবাদিক। এ অফিসের কেউ নই। পরে পাশের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার সজল চন্দ্র ভদ্রের কাছ থেকে ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করলে জুনিয়র পরিসংখ্যানবিদ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন ও জুনিয়র পরিসংখ্যানবিদ রাশেদুল হক স্বাধীন নয়াদিগন্তকে জানান, আমরা দুজনই জামালপুর জেলা কার্যালয়ে ট্রেনিংয়ে এসেছি। তাই অফিস বন্ধ। তারা এক উত্তরে জানান, আমাদের লোকবল খুব কম। উপজেলা পরিসংখ্যানবিদ নেই। ২ জন তদন্তকারীর পদ শূন্য। চেইনম্যান দুইজনের মধ্যে একজনও নেই। জনবলের অভাবে কাজকর্মে দারুন ব্যাঘাত ঘটছে। অপর দিকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বিভাগে মাত্র একজন কর্মকর্তা (আরডিও) নাম মোঃ মুখলেছুর রহমান। সেখানে নেই বেশ কজন পরিদর্শক সহ অন্যান্য পদের কর্মকর্তা, কর্মচারী। নেই অফিস সহকারী ও অফিস সহায়ক। একটি পৌরসভা সহ উপজেলার ৮ ইউনিয়ন যথাক্রমে দেওয়ানগঞ্জ, চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ, হাতীভাঙা, চর আমখাওয়া, পাররামরামপুর ও ডাংধরা ইউনিয়ন। এ বৃহৎ এলাকায় একমাত্র কর্মকতা দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা দূরুহ ব্যাপার। বিশাল অংকের বকেয়া আদায় ও ঋণ দান ক্ষেত্রে অসুবিধার শেষ নেই। উপজেলায় অর্ধশত সমবায় সমিতি রয়েছে। এ সমিতিতে পরিদর্শন, প্রশিক্ষণ দান সহ নানা কাজে অসুবিধার অন্ত নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ মোখলেছুর রহমান নয়াদিগন্তকে জানান, আমাদের অফিসে জনবল কম অনেক দিন ধরে। জনবলের চাহিদার বিষয়টি বহুবার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে আসা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জনবল পূরণ না করলে আমার করার কী আছে। উপরোক্ত জনবল সংকটের বিষয়টি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আতাউর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি নয়াদিগন্তকে জানান, আমি অল্প কিছু দিন হয় এ কর্মস্থলে যোগদান করেছি। উপজেলার সব বিষয়াদি অবগত হতে কিছুটা সময় লাগছে। উপজেলা পরিসংখ্যান বিভাগ ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বিভাগের জনবল সংকটের বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবো। জনবল কম হলে যে কোন অফিসেই জনসেবার ক্ষেত্রে অসুবিধা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক।
দেওয়ানগঞ্জে ২ সরকারি অফিস চলে ৩ জনে কাজে স্থবিরতা
