খাদেমুল ইসলাম:
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে রোপা আমন, ঘাসের চাষ সহ অন্যান্য আবাদের ক্ষেত্রে সারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের নজর দারিতে সারের অতিরিক্ত মূল্য নিয়ে তেমন কোন কিছু এখন পর্যন্ত শোনা যায়নি। শুক্রবার সকালে সার ডিলারদের সার বিক্রি তদারকি করতে গিয়ে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার জিলবাংলা চিনিকল এলাকায় গমন করে দেখা যায়, সেখানে শতশত কৃষক জমায়েত হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভা ও সদর দেওয়ানগঞ্জ ইউনিয়নের সার ডিলার মেসার্স কাদের এন্টারপ্রাইজ ও আদিল এন্টারপ্রাইজের সামনে শতশত কৃষক সার নিতে জমায়েত হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপস্থিত কৃষকদের মধ্যে স্থানীয় মোল্লাপাড়া, সরদারপাড়া ও চরভবসু গ্রামের হুমায়ুন চাকলাদার হিমু, হামিদুর রহমান, আঃ রশিদ, রফিক, আঃ রহিম,আয়ুব আলীর সাথে কথা হলে তারা জানান, এখন পর্যন্ত এই দুই সার ডিলার সরকারি রেট অনুযায়ী আমাদের কাছ থেকে ১১শত টাকা বস্তায় সার বিক্রি করছে। এ সময় এসব সার খুবই উপকারে লাগছে। তবে কৃষক প্রতি সারের পরিমাণ বাড়ানো দরকার। কৃষকদের মধ্যে হুমায়ুন চাকলাদার হিমু জানান, এসময় রোপা ধান ও ঘাসের আবাদের জন্য সারের খুব প্রয়োজন। ৮০% রোপা আমন এবং ২০% ঘাসের জন্য সার ব্যবহার চলছে।
কৃষক বেলাল শেখ জানান, আমার ৭ বিঘা রোপা আমন। ৫ ব্যাগ সারের প্রয়োজন। আজ পাচ্ছি ১ ব্যাগ। আবার কখন পাবো তা জানি না। কৃষক কাশেম মিয়া জানান, তার ১২ বিঘা জমিতে রোপা আমন। আজ সার পাচ্ছি ১ ব্যাগ। এমতাবস্থায় কৃষক প্রতি সারের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। সার ডিলারের ম্যানেজার মোঃ আলমাছ হোসেন জানান, সরকারি বিধি মোতাবেক সার পাওয়া মাত্র কৃষকদের মাঝে তা বিতরণ করে যাচ্ছি। এ এলাকার একজন কৃষকও বলতে পারবে না তারা হয়রানি হয়েছেন বা নিয়ম মাফিক সার পাননি অথবা ১ টাকা অতিরিক্ত নিয়েছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সরকারের ভাবমুর্তি রক্ষায় সরকারি বিধি মোতাবেক সব সময় কাজ করি এবং ভবিষ্যতেও করে যাবো।