খাদেমুল ইসলাম : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বুক চিড়ে প্রবাহিত এক সময়ের প্রবল ¯্রােতসীনি ব্রক্ষপুত্র-যমুনা নদ নদীতে বছরের অধিকাংশ সময় পানি থাকে না। শুধু বন্যা-বর্ষাকালে ভরে যায় পানিতে। এখন ফসল ফলাচ্ছে কৃষকরা। ¯্রােত বাড়ে। বাড়ে পাড়ে পাড়ে ভাঙ্গন। নাব্যতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর দুপাড়ে পানি উপচে যায়। এসময় স্কুল কলেজ, বাসা বাড়ি, পথ ঘাট, হাট বাজার জনপদ,অফিসাদীতে উঠে পানি। দুর্ভোগ বাড়ে মানুষের। নদীতে ফসলি জমি বিলীন হবার পাশাপাশি উর্বর জমিতে বালি পড়ে আবাদ অনুপযোগী হয়। বর্তমানে দেওয়ানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এক সময়ের উত্তাল ব্রক্ষপুত্র নদ শুকিয়ে গেছে। পুরো নদ জুড়ে ফসল ফলাচ্ছে কৃষক। এছারা উত্তাল যমুনা নদীর দশাও একই। তীব্র ¯্রােতসীনি যমুনায় নেই পানি। ধুধু বালিচর। স্থানে স্থানে আবাদ ও বাড়ি ঘর। যমুনার পাড়ে এক সময়ে ছিল বাহাদুরাবাদ ঘাট ও নৌথানা। গড়ে উঠেছিল ব্যবসা বানিজ্য। সৃষ্টি হয়েছিল কর্ম সংস্থান। সমৃদ্ধ ছিল মৎস্য সম্পদ। এখন এসবের কিছু নেই। নদীতে নাব্যতায় নৌ-চলাচল বন্ধ। বহু নৌ-পথের ব্যবসায়ী ও মৎস্যজীবিরা হয়ে গেছে বেকার।