মোহাম্মদ আলী:
পাররামরামপুরে গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নাদেরের সন্তান আবদুল্লাহ। ভাঙচুর হয়েছে তার দোকানপাট। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। অভিযোগ পরিবারের।
গত ১১ জুলাই দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাররামরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রহিমপুর ও পেরিরচর গ্রামবাসীর মাঝে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী জানান, ঘটনার দিন সকাল বেলা বকশিগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী খেয়াঘাট বাজারে পাররামরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান জেকে সেলিমের বড় ভাই ঝুট ব্যবসায়ী গোলাপ জামাল ও ব্যবসায়ী শহিদের সাথে মারামারি হয়। মুহূর্তের মধ্যেই সেই মারামারি সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দক্ষিণ রহিমপুর ও পেরিচর গ্রামের বাসিন্দারা। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর হয় দোকানপাট ও বাড়ি ঘর। মারাত্মক আহত হন পেরিরচর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নাদের মিয়ার দুই ছেলে আব্দুল্লাহ, হযরত আলী ও দক্ষিণ রহিমপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের এস.এস.সি পরীক্ষার্থী মেয়ে রাজিয়া আক্তার রিতু। দা দি কুপিয়ে ভাঙ্চুর করা হয় আলতাফের বাড়ি আরও কয়েকটি দোকান পাট। এই ঘটনায় বকশিগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ থানায় আলাদা আলাদা তিনটি মামলা নেওয়া হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধা নাদেরের পরিবারের পক্ষে কোনো মামলা নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাদের মিয়ার ছেলে হযরত আলী বলেন, আমি চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর আমার এক ভাইকে সাথে নিয়ে মামলা করতে গিয়েছিলাম বকশিগঞ্জ থানায়। কিন্তু, পুলিশ আমার মামলা নেয়নি। সব শুনে থানার ওসি বলেছেন, আমি বেশি কথা বলি না মামলা নেওয়া হবে না, যান।
এলাকাবাসী জানান, সেলিম একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও দুই পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধকে সমঝোতার চেষ্টা না করে ব্যক্তিগত ভাবে নিয়ে ভাইয়ের পক্ষাশ্রিত হয়ে ঘটনাটিকে সংঘর্ষে রূপ দিয়েছেন। এর কারণে তার ও গ্রামবাসীর বড় ধরনের ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
পাররামরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মিয়া বলেন, আমার ভাইকে অন্যায় ভাবে মারধর করার পরেও আমি কারও ক্ষতি করিনি। বরং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছি।
বকশিগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাদেরের পরিবারের পক্ষে কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি।