বাগেরহাট-২ (কচুয়া ও সদর) আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় (শেখ তন্ময়) বলেছেন, এত আয়োজন করে, ঘোষণা দিয়ে সমাবেশ করে বিএনপি ১০টি দাবি দিয়েছে, তার মধ্যে ৬টি দাবি ছিল জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের কারামুক্তি দেওয়ার। সাধারণ মানুষের জন্য, আপনার আমার জন্য কিছু নেই, তাদের দাবির মধ্যে। দেশের মানুষ তাদের এই অন্যায় দাবি মেনে নেবে না।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে হতদরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাগেরহাট পৌর আওয়ামী লীগ এই শীতবস্ত্র বিতরণের আয়োজন করে।
শেখ তন্ময় বলেন, জামায়াত-বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন এই বাগেরহাটেও অবর্ণনীয় নির্যাতন করেছে। ভবিষ্যতেও ক্ষমতায় আসলে আবারও নির্যাতন করবে সারাদেশে। এজন্য দেশের উন্নয়ন ও মানুষের শান্তির জন্য শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বাগেরহাট পৌরসভার সব থেকে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। আমরা ড্রেনের কাজ করেছি, যেন পানি নিষ্কাশন হয়। আমরা আগামীতে খালগুলো কেটে দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। যেন বৃষ্টির মৌসুমে পানি নিষ্কাশন হতে পারে। শুধু ড্রেন বানিয়েতো লাভ নেই, খাল কেটে রাখতে হবে যাতে পানি নেমে যেতে পারে। এজন্য বিশদ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এত কাজ করছি, জনগণের কাছে আসছি, তারপরও কিছু মানুষ আমাদেরকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে চায়। স্বাধীনতা বিরোধীদের সেই আশা কখনো পূর্ণ হবে না। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল বাকি, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আজমল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইবনে মিজান হীরু প্রমুখ।
এদিন বাগেরহাট পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার ৩ হাজার মানুষকে শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুদানের ২০টি চেক উপকারভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলায় সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের পক্ষ থেকে ১৭ হাজার কম্বল বিতরণ করার কথা রয়েছে।