আ.জা. স্পোর্টস:
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শুরুটা ভালো হতে পারতো। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দ হারিয়ে পুরো পয়েন্ট হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ ফ্রান্স কোচ দিদিয়ে দেশম। প্রথমার্ধে যথেষ্ট সুযোগ পেয়েও ম্যাচ শেষ করে দিতে না পারায় আফসোস হচ্ছে বিশ্বকাপজয়ী এই কোচের। ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফ্রান্সের জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে ইউক্রেনের বিপক্ষে ১-১ ড্র করে দেশমের দল। অঁতোয়ান গ্রিজমানের দারুণ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আত্মঘাতী গোলে জয় হাতছাড়া হয় স্বাগতিকদের। প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সে মনে হচ্ছিল ৩ পয়েন্টই পেতে যাচ্ছে ফ্রান্স। ম্যাচের ১৯তম মিনিটে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড গ্রিজমানের গোলে এগিয়ে যায় তারা। এরপর লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশ করেন কিলিয়ান এমবাপে, লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডে অলিভিয়ে জিরুদ। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বাদশ মিনিটে ডি-বক্সে সফরকারী মিডফিল্ডার সিদরচুকের শট ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ালে হতাশা সঙ্গী হয় ফ্রান্সের। ম্যাচ শেষে দলের দ্বিতীয়ার্ধের বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা লুকাননি দেশম। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফ্রান্সের শুরুটা হয়েছে ইউক্রেনের বিপক্ষে ১-১ ড্রয়ের হতাশায়।বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফ্রান্সের শুরুটা হয়েছে ইউক্রেনের বিপক্ষে ১-১ ড্রয়ের হতাশায়।
প্রথমার্ধেই আমাদের জয় নিশ্চিত করা উচিত ছিল। সেই সুযোগ আমাদের ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে পড়েৃএসময় আমাদের খেলায় অবশ্যই ছন্দের ঘাটতি ছিল। যে গোল আমরা হজম করেছি তা এড়ানো যেত।” “আমি আমার দলের থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল দেখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এমনটি হয়নি। ম্যাচে আমরা খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। আমাদের আরও নিখুঁত হওয়ার দরকার ছিল, মুভমেন্ট বাড়াতে হত।” নিজেদের ভুল স্বীকার করে প্রতিপক্ষকেও প্রাপ্য সম্মান দিচ্ছেন খেলোয়াড় হিসেবেও বিশ্বকাপ জেতা দেশম। “আমরা অবশ্যই হতাশ, জিততে পারলে তা হতো সঠিক ফল। এতে প্রমাণ হয়, ইউক্রেন ভালো একটা দল।” ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে আগামী রোববার স্বাগতিক কাজাখস্তানের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। এরপর বুধবার স্বাগতিক বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বিপক্ষে খেলবে ২০১৮ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এই দুই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে দেশম। “আমাদের সামনে যে দুটি ম্যাচ আছে তাও সহজ হবে নাৃদ্বিতীয়ার্ধে আমাদের উদ্যমের ঘাটতি ছিল। এই জায়গায় আমরা আরও উন্নতি করতে পারি।”