আ. জা. স্পোর্টস:
প্রত্যাশিত জয়েই বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পথচলা শুরু হয়েছে পর্তুগালের। তবে জয়ের ধরনটা মোটেও তাদের জন্য সুখকর নয়। শক্তির বিচারে অনেক পিছিয়ে থাকা আজারবাইজানের বিপক্ষে কিনা ইউরো চ্যাম্পিয়নদের জিততে হলো প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে! এটি মূলত পর্তুগালের হোম ম্যাচ। তবে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে তা সরিয়ে নেওয়া হয় তুরিনে, ইউভেন্তুসের স্টেডিয়ামে। সেখানে বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রæপের ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে ফের্নান্দো সান্তোসের দল। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের মধ্যে যেমন বিস্তর ফারাক, মাঠের লড়াইয়েও শুরু থেকে তারই দেখা মেলে। ১০৮তম স্থানে থাকা প্রতিপক্ষের ওপর শুরু থেকেই চাপ বাড়ায় র্যাঙ্কিংয়ে পঞ্চম পর্তুগাল। তবে ফিনিশিংয়ে ম্যাচজুড়ে ভুগেছে তারা। ম্যাচের পরিসংখ্যানেও তা স্পষ্ট; গোলের উদ্দেশে মোট ২৯টি শট নেয় পর্তুগাল, যার ১৪টি লক্ষ্যে। কিন্তু জালের দেখা মেলেনি একবারও। অবশ্য তাদের অনেকগুলো প্রচেষ্টা দারুণ সব সেভে প্রতিহত করেন ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত খেলা আজারবাইজান গোলরক্ষক শাহরুদিন মোহাম্মদালিয়েভ। দশম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার প্রথম ভালো সুযোগ পায় ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমে রুবেন নেভেসের জোরালো সোজাসুজি শট দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় কোনোমতে ফেরান গোলরক্ষক। কয়েক সেকেন্ড পর জোয়াও কানসেলোর কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে ফেরান মোহাম্মদালিয়েভ। খানিক পর ইউভেন্তুস তারকা রোনালদোর দারুণ ক্রস ভালো পজিশনে পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন দোমিনগোস দুয়ার্তে। ৩৬তম মিনিটে মিডফিল্ডার নেভেসের ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটও ঝাঁপিয়ে ফেরান মোহাম্মদালিয়েভ। পরের মিনিটে প্রতিপক্ষের এগিয়ে যাওয়ায় নিজেদের দুর্ভাগা ভাবতেই পারে আজারবাইজান। নেভেসের ক্রস ঠেকাতে ঝাঁপিয়ে দুর্বল পাঞ্চ করেন গোলরক্ষক;
কিন্তু বল পাশেই দাঁড়ানো মেদভেদেভের বুকে লেগে গড়িয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয়। প্রথমার্ধে মাত্র ২৫ শতাংশ বল দখলে রাখা আজারবাইজান বিরতির আগে গোলের উদ্দেশে কোনো শটই নিতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম পাঁচ মিনিটে একটু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও পারেনি তারা। তবে প্রতিপক্ষকেও দেয়নি কোনো সুযোগ। ৬৭তম মিনিটে বের্নার্দো সিলভার শট ঝাঁপিয়ে ফেরান মোহাম্মদালিয়েভ। ১০ মিনিট পর ব্রুনো ফের্নান্দেসের বুলেট গতির শটে বল গোলরক্ষকের আঙুল ছুঁয়ে ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৮৫তম মিনিটে আবারও পর্তুগালকে হতাশ করেন ২৬ বছর বয়সী গোলরক্ষক। এবার আন্তর্জাতিক ফুটবলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০২ গোল করা রোনালদোর ফ্রি কিকে লাফিয়ে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান তিনি। আর বদলি নামা জোয়াও ফেলিক্সের যোগ করা সময়ের প্রচেষ্টা পা দিয়ে ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি মোহাম্মদালিয়েভ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হারলেও ফেভারিটদের বিপক্ষে এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে পেরে নিশ্চয়ই আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে আজারবাইজান। অন্যদিকে, পর্তুগালের জন্য এটি সতর্কবার্তা। পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে না পারলে সামনে ভুগতে হবে তাদের। পরের ম্যাচে আগামী শনিবার স্বাগতিক সার্বিয়ার বিপক্ষে খেলবে সান্তোসের দল।