মোহাম্মদ আলী: বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের লক্ষ্যে নির্মাণাধীণ বীর নিবাসে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ ।
বৃহস্পতিবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে প্রাথমিক ভাবে তার আলামত পাওয়া যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বকশিগঞ্জ উপজেলা প্রসাশন।
জানাযায়, গত অর্থবছরে বকশিগঞ্জ উপজেলায় ২৯টি বীর নিবাস ( পাকা বাড়ি) নির্মাণে বরাদ্দ পায়। প্রতিটি ঘরের জন্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। যেসব মুক্তিযোদ্ধা ঘর পেয়েছেন সূর্যনগর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ কাদেরের তাদের একজন। তার ঘরটি নির্মাণ করতে গিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন ঠিকাদার।
জামালপুর জেলা প্রশাসক বরাবর এমন অভিযোগ এনে ঘরটি পূণঃনির্মাণের দাবি করেছেন তিনি। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ কাদের বলেন, আমার ঘরটি নির্মাণের শুরু থেকেই ঠিকাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম বিজয়, দুর্নীতি অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে আসছিলেন। গাঁথুনিতে ৩ নম্বর পুরানা ইট, মাটিযুক্ত বালি ও ছাদ ঢালায়ের কাজে পঁচা খোয়া ব্যবহার করেছেন। শুরু থেকেই আমি তার এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করেছি। আৃমার মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের দিয়ে বলিয়েছি। কিন্তু, তিনি ক্ষমতার দাপটে আমাদের এসব আপত্তির কোনো ভ্রূক্ষেপ করেননি। তিনি তার মতো কাজ চালিয়ে গেছেন । এমতাবস্থায় কাজ শেষ না হতেই দেওয়ালে শ্যাওলার পড়েছে, ছাদ চুয়ে পানি পড়ছে। আমার এ ঘর বেশিদিন টিকবে না। তাই, আমি আমার ঘর সরকারকে ফেরত নিতে বলেছি। আমি এইঘর নিব না। কাদের ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমানের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম বিজয় বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ কাদের এর বাড়ি নির্মাণের সময় বাজারে নতুন ইট ছিল না। পক্ষান্তরে কাজ ধরার ব্যাপারেও তাগিদ ছিল প্রসাশনের। তাই, আমার কাছে আগে থেকেই মজুদ থাকা পুরাতন ইট দিয়ে কাজ ধরেছি। বাকী সব ঠিক ঠাক হয়েছে। এব্যাপারে বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত করে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহাররের আলামত পাওয়া যাওয়ায় কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিল্ডিং টেস্টের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।