নিজস্ব সংবাদদাতা:
গারো পাহাড়ে মনোমুগ্ধকর এলাকায় বেড়ানোর কথা বলে ৫ বন্ধু এক স্কুলছাত্রীকে নিয়ে পাহাড়ে এসে ধর্ষণ করেছে। ধর্ষকদের বাড়ী পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার কোমরাভাঙ্গী গ্রামে। ৫ ধর্ষকের মধ্যে ২ জন দৌড়ে পালিয়ে গেছে। ৩ জন ডুমুরতলা গ্রামবাসীর হাতে আটক হয়েছিল। পালিয়ে যাওয়া ২ ধর্ষক রৌমারি উপজেলার কোমরভাঙ্গি পুরাতন পাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর পুত্র শফি আলম, সিরাজুল ইসলামের পুত্র রুহুল আমিন। গ্রেফতারকৃতরা কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি উপজেলার কোমরভাঙ্গি পুরাতন পাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র হুসাইন শান্ত, আজিজুল বেপারীর পুত্র আমিনুল, তজিমুলের পুত্র আঙ্গুর আলম।
২৯ জুলাই (বৃহস্পতিবার) লাউচাপড়া ডুমুরতলা গুচ্ছগ্রামের উত্তর পার্শ্বে গহীন জঙ্গলে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ৫ যুবক ধর্ষণের ফলে ধর্ষিতার ডাক-চিৎকারের পর লোকালয়ের কাছে এসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সেবাযত্ন দিয়ে রাখে। এলাকাবাসী স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নিকট খবর পৌঁছালে, সংবাদকর্মী আশরাফুল হায়দার, সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি জেনে থানার ওসি কে অবহিত করেন। তৎক্ষণাৎ বকশিগঞ্জ থানার চৌকস অফিসারবৃন্দ ঘটনাস্থলে এসে ধর্ষকদের গ্রেফতার সহ তাদেরকে জিম্মি করে রেখে চাঁদা দাবী করায় ২ জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। চাঁদার অভিযুক্ত বকশিগঞ্জ উপজেলার পলাশতলা গ্রামের হাম্বির পুত্র হিটলার ও বকশিগঞ্জ পৌরসদর চরকাউরিয়া সীমারপাড় গ্রামের মৃত রেজাউল করিমের পুত্র আজাদ। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বকশিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকৃত স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষায় জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।