আ.জা. ডেক্স:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন আপসহীন নেতা ছিলেন বলে উল্লেখ করেছে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ বলেছেন, তিনি জীবনের বেশিরভাগ সময়ে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার লক্ষ্য নিয়েই রাজনীতি করেছেন। সে লক্ষ্যেই তিনি ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছিলেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি। করোনাকালে সহায়তার জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ বলেন, করোনা ভাইরাস চলাকালে বাংলাদেশ মালদ্বীপকে যে ওষুধ ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছে, তার জন্য মালদ্বীপ বাংলাদেশের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। তিনি ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার একজন অন্যতম বড় নেতা। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সাথে মালদ্বীপ অংশীদারত্ব বাড়াতে আগ্রহী। দুই দেশ আগামীতে শক্তিশালী বন্ধুত্বের মধ্যে দিয়ে একে অপরকে বিভিন্নখাতে সহযোগিতা করবে বলে আশা প্রকাশ করবে। প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মালদ্বীপের ফাস্টলেডি ফাজনা আহমেদ, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের স্ত্রী রাশিদা খানম, বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের ক‚টনীতিক, দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থা প্রধান, সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গতকাল বুধবার সকালে ঢাকায় আসেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। ঢাকায় আসার পর মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর আগে গতকাল বুধবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিমানবন্দরে দুই দেশের রাষ্ট্রপতি কুশল বিনিময় করেন। এ সময় মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির সম্মানে ২১ বার তোপধ্বনি দেওয়া হয়। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি গতকাল বুধবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। আজ বৃহস্পতিবার তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। আগামী ১৯ মার্চ সকালে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার স্ত্রী, সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী ও অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা তার সফরসঙ্গী হয়েছেন।