বাংলাদেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক বাইপাইল হয়ে নবীনগর পর্যন্ত যাবে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
বুধবার (৩ মে) সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ তথ্য জানান ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।
এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ আশুলিয়া থেকে বাইপাইল হয়ে নবীনগর যাবে। এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত গিয়ে লাইন-১ এর সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হবে। সেখান থেকে লাইন-১ আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে গাজীপুর পর্যন্ত যাবে। এজন্য টঙ্গীতে আমাদের একটা ইন্টার সেকশন হবে।
তিনি আরও বলেন, এমআরটি লাইন-৫ ও ৬ আমরা বলেছি ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে কমলাপুর পর্যন্ত শেষ করে ফেলবো। তখন আমরা এই লাইনে ফ্রি হয়ে যাব। এরপরে আমরা টঙ্গী এবং নবীনগরের দিকে যাব। এটা এখন পর্যন্ত কোনও স্টেজে নাই। শুধু প্ল্যানিং স্টেজে রাখা হয়েছে।
এমআরটি লাইন-৬ এখন দৃশ্যমান। উত্তরা উত্তর স্টেশন মেট্রোরেল বর্তমানে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত চলছে। এই লাইনে আগামী জুলাই মাসে শুরু হবে মতিঝিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলক চলাচল। ২০২৩ সালের শেষের দিকে এটি বাণিজ্যিকভাবে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রা করার কথা আছে। এছাড়া এমআরটি লাইন-৬ মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত করার কাজও চলামান আছে।
এমআরটি লাইন-৬ পর এরই মধ্যে শুরু হয়েছে লাইন-১ এর কাজ। কয়েকদিন পরে লাইন-৫ এর কাজও শুরু হবে। এরপর লাইন ৩ ও ৪ এর কাজ শুরু হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে পুরো রাজধানীর মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক তৈরি হবে।
এরপরে টঙ্গী, সাভার, গাজীপুর, নরসিংদী, কেরানীগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জে বর্ধিত করার পরিকল্পনা থাকলেও আগেই কাজে হাত দিচ্ছে বিএনপিসিএল।
যেহেতু লাইন-৬ এর কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হচ্ছে। তারপর উত্তরা থেকে টঙ্গী অংশের কাজ শুরু করতে চান কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি আরেকটি লাইন আশুলিয়া হয়ে যাবে বাইপাইল পর্যন্ত। টঙ্গী অংশে গিয়ে মিলবে লাইন-১ এর বর্ধিত অংশে, আর বাইপাইল থেকে যুক্ত হবে লাইন-৫ এ।