৩৮ বছর বয়সে ফিরেছিলেন নিজের পুরোনো ক্লাবে। বার্সেলোনার দুঃসময়ে দানি আলভেসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে, ভাবনা ছিল এমন।
কিন্তু স্বল্প মেয়াদের চুক্তিতে আসা ব্রাজিলিয়ান তারকা খেলতে পারেননি পুরো একটি মৌসুমও। তার সঙ্গে চুক্তি নবায়নে আগ্রহী হয়নি ক্লাব।
গত বছরের নভেম্বরে বার্সায় ফেরেন আলভেস। এরপর ক্লাবটির হয়ে ১৭ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন তিনি। এর আগে বার্সেলোনার হয়ে ৮ বছর খেলে আলভেস জিতেছেন ২৩টি ট্রফি। ওই দফায় ৩৭৭ ম্যাচ খেলা আলভেস বার্সেলোনার কিংবদন্তি। কিন্তু তার বিদায়ের পর ক্লাবের প্রতি ক্ষোভ লুকাননি তিনি। গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, বার্সেলোনা এখন আর ইতিহাস সৃষ্টিকারীদের পাত্তা দেয় না।
আলভেজ বলেছেন, ‘আমি দুঃখ নিয়ে বিদায় নেইনি। বার্সেলোনাতে ফেরার আনন্দকে সঙ্গী করে চলে এসেছি। পাঁচ বছর ধরে দ্বিতীয় ফেরার এই মুহূর্তটাতে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছি। একটা ব্যাপারই আমার পছন্দ হয়নি- যেভাবে আমার বিদায়টা হয়েছে। ’
‘ফেরার পর থেকেই আমি পরিষ্কার করে দিয়েছিলাম- আমি এখন আর ২০ বছরের ছেলে না। আমি জিনিসগুলো সেভাবেই সামলানোর চেষ্টা করেছি, কোনো কিছু না লুকিয়ে। কিন্তু এই ক্লাবটা গত কয়েক বছরে পাপ করছে। বার্সেলোনা এখন তাদের হয়ে ইতিহাস গড়াদের পাত্তা দেয় না। ’
যদিও বার্সেলোনাকে ফেরার শুভকামনা জানিয়ে আলভেস বলেছেন, ‘আমি বার্সেলোনাকে তাদের ফিরে আসার ব্যাপারে সমর্থন দেই। কিন্তু এটা খুব খুব জটিল। ফুটবল এখন আরও বেশি ভারসম্যপূর্ণ, এটা এখন যৌথ খেলা। আর ক্লাবে এটাই নেই। ’
বয়ষটা ৩৯ হয়ে গেছে। এই বাস্তবতা মানেন আলভেস। তবে আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে খেলতে চাওয়ার ইচ্ছেটাও আছে তার। তাই খুঁজবেন নতুন ক্লাব। আলভেসের বিশ্বাস, তার অভিজ্ঞতা দরকার আছে ক্লাবগুলোর।
তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি সবাই আমার বয়সের ব্যাপারে কথা বলছে। যে আমি বুড়ো হয়ে গেছি, ২০ বছর বয়সে আমাকে সবাই চাইতো এখন চায় না। কিন্তু আমি এটার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি কারণ আজকে আামার অভিজ্ঞতা আছে যেটা ২০ বছরের কারো নেই। কোনো কোনো ম্যাচে ২০ বছর বয়সের কেউ চিন্তিত ও নার্ভাস থাকবে কিন্তু আমি না। ’