এম এ রফিক: সরকার কৃষকের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর মাধ্যমে বীজ উৎপাদন-প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপননের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে সারাদেশে বিএডিসির বীজ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে বীজের গুনগত মান ধরে রাখতে বিএডিসি বদ্ধ পরিকর। বীজের মান রক্ষার জন্য ভাল বীজের বৈশিষ্ট্য জানতে হবে। বীজের জাত হতে হবে বিশুদ্ধ। বীজ পোকামুক্ত, রোগমুক্ত এবং রং হবে উজ্জ্বল । বীজ সব এক আকারের হতে হবে। পুষ্ট এবং দানা বড় হবে। বীজের পানির ভাগ ধান ও গম জাতীয় ফসলের বেলায় সর্বোচ্চ ১২ ভাগ এবং অন্যান্য ফসলের বেলায় ১০ ভাগ থাকতে হবে। সর্বোপরি বীজ গজানোর ক্ষমতা ৮০ ভাগের উপরে থাকতে হবে। বিএডিসি ভাল বীজের জন্য প্রত্যায়িত বীজ, উচ্চ ফলনশীল বীজ, উন্নত বীজ, আধুনিক বীজ, হাইব্রিড বীজ সর্বোপরি মান সম্পন্ন বীজ কৃষকের মাঝে সরবরাহ করে আসছে। জামালপুরে ২০২১-২২ ইং সালে বিএডিসি (অধিক বীজ) কৃষকের কাছ থেকে বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করে উৎপাদনের মাধ্যমে সরবরাহ করেছে ২১৮৪ টন। অপরদিকে আমন মৌসুমে ৩৩৯ টন বীজ উৎপাদন করে সরবরাহ করেছে। বর্তমান ২০২২-২৩ ইং সালে আমন মৌসুমে ৩৬১ টন বীজ সরবরাহের জন্য কাজ চলমান রয়েছে। আগামী জানুয়ারী মাস পর্যন্ত এই বীজ সংগ্রহ চলবে। গতকাল মঙ্গলবার জামালপুর বিএডিসি (অধিক বীজ) উপপরিচালক কৃষিবিদ কামরুল হাসান এর সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, তিনি ০১-১২-২০২১ ইং সালে জামালপুরে যোগদান করেন। যোগদান করার পর থেকেই কৃষকের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহের জন্য প্রতিনিয়ত কৃষকের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে আসছেন। অধিক বীজ কমপাউন্ডারে তিনি স্থাপন করেছেন বিএডিসি কর্তৃপক্ষের ডিজিটাল লোগো, সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। প্রশাসনে নিয়ে এসেছেন পরিবর্তন। যার কারণে জামালপুর অধিক বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে বেড়েছে বীজ উৎপাদন। এই বীজ সরকারি প্রনোদনায় বর্তমানে কৃষি সম্প্রসারনের মাধ্যমে সারা জেলায় বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া বিএডিসির নির্ধারিত ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রয় করা হচ্ছে বীজ।