মোহাম্মদ আলী:
বোরো মৌসুমে ধান কাটতে শুরু করেছেন জামালপুরের কৃষকরা। মৌসুম শেষে বিঘা প্রতি তারা যে ফলন পেয়েছেন তাতে তারা খুশি। সম্প্রতি বয়ে যাওয়া গরম হাওয়ায় ধানের শিষ পুড়ে না গেলে ফলন আরও ভাল হতো বলে তাদের বিশ্বাস। কিন্তু, কৃষি অধিদপ্তর বলছেন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
জেলার মেলান্দহ উপজেলার চরবানি পাকুরিয়া গ্রামের কৃষক ফজলুল হক। তিনি তার নিজের ৫বিঘা জমিতে পাইজাম ধান রোপন করেছিলেন। মৌসুম শেষে যে পরিমাণ ধান তিনি পেয়েছেন তাতে তিনি সন্তুষ্ট। সম্প্রতি, বয়ে যাওয়া গরম হাওয়ায় তার ধানের কিছু ক্ষতি হয়েছে। তা নাহলে তিনি আরও ভাল ফলন পেতেন বলে তার বিশ^াস।
তিনি বলেন, আমি যে পরিমাণ ধান পেয়েছি তাতে বিঘায় ১৮মণ হবে। গরম হাওয়ায় আমার ক্ষেতের ধানের শীষ পুড়ে গিয়ে ক্ষতি না হলে ফলন বিঘায় ২০ মণের বেশি হতো। তারপওে যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
আরেক কৃষক আব্দুল হাই (৬০)। পেশায় একজন রিকসা চালক। রিকসা চালনার ফাঁকে ফাঁকে এবার তিনি বর্গায় ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলেন। সেই পেকেছে। গতকাল থেকে তিনি পাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন। আজ তার ধান কাটা শেষ। বিঘা অনুপাতে যে ফলন তিনি পেয়েছেন তাতে তিনি খুশি।
তিনি বলেন, আমি এবার তিন বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আটাশ ধান রোপন করেছিলাম। ধান কাটার পর যে পরিমাণ ধান পেয়েছি তাতে প্রতি বিঘায় ২০মণ করে হবে। আমার জমিটি নিচু হওয়ায় সম্প্রতি গরম হাওয়ায় আমার ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি।
জামালপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা, জাকিয়া সুলতানা বলেন, বোরো মৌসুমের ধান কাটা শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতোমধ্যে ১হাজার ৩শ নতুন ধান কাটা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১লাখ ৩০ হাজার ৪শ ৫০ হেক্টর। কিন্তু, এবার জেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ১লাখ ২৯হাজার ৯ হেক্টর জমিতে। কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রার চাইতে ৫শ ৫০ হেক্টর কম।